ছবিতে নিউজিল্যান্ড- বাংলাদেশ সীমিত ওভারের সিরিজ

সীমিত ওভারের দুই সিরিজে ৬-০ ব্যবধানে কিউইদের কাছে হারলো বাংলাদেশ। অথচ এই সিরিজ দুটির অন্তত একটিতে জয়ের আশা ছিলো মাশরাফিদের। সেই আশার একটুও পূরণ হয়নি এই সফরে।

নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে সাত সিরিজে কোনো হোয়াইটওয়াশ ছিলো না বাংলাদেশের। এবার পরপর দুই সিরিজে পেতে হলো সেই লজ্জা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ম্লান সৌম্যর পিছনে ইস শোধিদের উল্লাস। সীমিত ওভারের সিরিজের প্রতীকী রূপই যেনো এই ছবিটি।

ওয়ানডে সিরিজে তিনবার এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনবার। এভাবেই উল্লাস করেছে কিউইরা। আর বাংলাদেশকে কেবল দেখতে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনদের এমন দৌড়।

এই সিরিজ দিয়ে পাঁচ মাসের দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ইনজুরির ধকল কাটিয়ে উঠার প্রমাণ রাখতে পারেননি তিনি। সুখকর হয়নি জাতীয় দলের হয়ে তার প্রথম বিদেশ সফর। কারণ ছাড়া বিশ্রাম চেয়ে সিরিজ শেষে উল্টো বদনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

এই সফরে বাংলাদেশ যাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো, তাদের অন্যতম মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সফরের প্রথম ম্যাচেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। তার ইনজুরির সঙ্গে ধসে পড়ে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারও। সীমিত ওভারের সিরিজে আর কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি মুশফিক। তবে আছেন টেস্ট সিরিজে।

মুশফিক ইনজুরিতে পড়ায় মিডলঅর্ডারের মূল দায়িত্ব এসে পড়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাঁধে। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে চরম ব্যর্থ হন তিনি। তিন ম্যাচে করেন মাত্র চার রান! তবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে তার ব্যাট থেকেই।

রিয়াদের মতো সাব্বিরের ব্যাটেও নির্ভরতা চেয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু সেই নির্ভরতার সম্মান রাখতে পারেননি এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

প্রায় প্রতি ম্যাচেই অসাধারণ শুরুর পরই উইকেট হারিয়েছেন সাব্বির। এ নিয়ে তার আফসোসের কথাও শোনা গেছে। নিজেকে বদলে ফেলবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পারেননি। সিরিজ শেষে সাব্বিরকে ব্যর্থই বলতে হবে।

ওয়ানডে সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিলো ছয় বছর পর নিল ব্রুমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার। ফেরার পরের ম্যাচেই দারুণ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন- পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে!

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট চমকে দেয় সাত বছর পর জিতান প্যাটেলকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরিয়ে। এতো বছর ফিরেও এই স্পিনার দারুণ খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।

ব্রুম বা জিতান প্যাটেলকে নিয়ে অবশ্য বেশি ভাবার সুযোগ ছিলো না বাংলাদেশের। কারণ নিজেদের অবস্থাই তো ছিলো তথৈবচ। সে অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তামিমের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকে। কিন্তু তামিম ব্যর্থ। ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

টানা ছয় ম্যাচ হারের পর আরো হতাশা নিয়ে এলো মাশরাফির হাতের তালুর হাড় চিড়ে যাওয়ার মতো দুঃসংবাদ। মার্চের আগে আর খেলতে পারবেন না মাশরাফি। বাংলাদেশের পরবর্তী সীমিত ওভারের ক্রিকেট আগামী মে মাসে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। রঙিন পোশাকে জয়ের দেখা পেতে আপাতত সেই সিরিজের প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ।