অন্ধকারে পুরো নাইজেরিয়া!

উৎপাদনের পুরো সিস্টেম ভেঙে পড়ার কারণে আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ নাইজেরিয়া জুড়ে বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউট হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্য এবং রাজধানী আবুজাও বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে। খবর আল জাজিরা।

নাইজেরিয়াজুড়ে চলছে ব্ল্যাকআউট

নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা এনুগু ইলেক্ট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুরো সিস্টেম ভেঙ্গে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে কেউ কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।

এনুগু ইলেক্ট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মুখপাত্র এমেকা এজেহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের কোনো ধরনের পরিষেবা দিতে পারছি না।

জানা গেছে, গ্রিড ফেল করার কারণে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ২৭৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয় সংস্থাটি। কিন্তু সেটিও দৈনিক চার হাজার ১০০ মেগাওয়াট চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

এদিকে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা কাদুনা ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এক বিবৃতিতে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে, জাতীয় গ্রিড ফিরে পাওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা হবে।

নাইজেরিয়াতে দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে নাইজেরিয়ার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথক জেনারেটর ব্যবহার করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। কিন্তু এ জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেল ও পেট্রোলের দাম এই বছর দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। কয়েক দশক ধরে চলে আসা ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তেলের দাম এত বেশি বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে ভিন্ন উপায় খুঁজছে নাইজেরিয়ার মানুষ।

নাইজেরিয়াতে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে কাঁচামালের যোগানের ঘাটতির কারণে সক্ষমতার মাত্র এক-চতুর্থাংশ উৎপাদন করতে পারে কোম্পানিগুলো। গত বছর নাইজেরিয়ার পাওয়ার গ্রিড কমপক্ষে চারবার ভেঙ্গে পড়ে।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বিদ্যমান মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করতে রাজ্য সরকারগুলোকে তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে রাজ্যগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়বে।