পরমাণু হামলার মেকানিজম নিয়েই ঘোরেন বাইডেনরা!
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টরা একটি বিশেষ কালো রঙের ব্রিফকেস উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে যান। তিনি যেখানে যান, সেখানে যায় এই ব্রিফকেস, যার নাম নিউক্লিয়ার ফুটবল। খবর ব্রাজিল পোস্ট।
বাইডেনের সঙ্গে নিউক্লিয়ার ফুটবল
এমনিতে নজরে না পড়লেও যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা কোথাও যান, তখন দেখা যায়, তার পিছনে স্যুট-বুট পরা বিশেষ কেউ হেঁটে যাচ্ছেন। তার হাতে থাকে পেল্লাই সাইজের একটি ব্রিফকেস। আকারে খুব বেশি বড় না হলেও ওজন কিন্তু কম নয়। তালা দেওয়া এই ব্রিফকেসটির ওজন প্রায় ২০ কেজি।
কোনো বিশেষ প্রেসিডেন্ট নন, বরং যিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন, তার সঙ্গেই সার্বক্ষণিক বসবাস এই কালো ব্রিফকেসের। একজন সামরিক কর্মী এই ব্রিফকেসটি বহন করে থাকেন। দেশটির ছ’টি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পালাক্রমে এই নিউক্লিয়ার ফুটবল বহন করে থাকেন। তবে কে কখন এই দায়িত্ব পাবেন, আগে থেকে তা জানার কোনো উপায় নেই।
শুধু আমেরিকা নয়, বরং পুরো বিশ্ব রাজনীতিতেই এই বিশেষ ‘ফুটবলের’ অনেক তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এর মধ্যেই রয়েছে পরমাণু হামলার মূল চাবিকাঠি। ব্রিফকেসের ভেতরে মাত্র চারটি জিনিস থাকে। দুইটি বই, একটি ফাইল এবং একটি কার্ড। এগুলো দিয়েই যে কোনো মুহূর্তে পরমাণু হামলার সব প্রস্তুতি নিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা।
সব মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই থাকে এই ব্রিফকেস
চারটি জিনিসের প্রথমটি হলো ‘দ্য ব্ল্যাক বুক’। ১২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ৯ ইঞ্চি প্রস্থের এই বইয়ে আছে কালো ও লাল রঙে ছাপা ৭৫টি পাতা। শত্রুকে কীভাবে কীভাবে আক্রমণ করা যায়, তারই কিছু বর্ণনা রয়েছে এই বইয়ে। ব্রিফকেসের দ্বিতীয় জিনিসটি হলো ‘ব্ল্যাক বুক’-এর মতো আরেকটি বই, যেখানে তালিকার আকারে রয়েছে নিরাপদ কিছু ঠিকানা। জরুরি পরিস্থিতিতে এসব জায়গাতে আশ্রয় নিতে পারেন প্রেসিডেন্ট আশ্রয়। ব্রিফকেসে আরও রয়েছে ম্যানিলা ফোল্ডার নামে আরেকটি ফোল্ডার। ৮-১০ পাতার এই ফাইলের আপৎকালীন সতর্কতা ব্যবস্থা (ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম) ব্যবহারের বিশদ বিবরণ রয়েছে। চতুর্থ ও সর্বশেষ জিনিস হলো একটি ছোট কার্ড। ৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ৩ ইঞ্চি প্রস্থের এ কার্ডে বিভিন্ন অথেন্টিকেশন কোড লেখা থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এই ব্রিফকেস খোলা হবে। সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে সতর্কবাণী পৌঁছে যাবে। পরে মন্ত্রণালয়ের লোকজনের সঙ্গে করবেন এবং পরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন প্রেসিডেন্ট। এক্ষেত্রে অবশ্য নির্দেশদাতা প্রেসিডেন্ট কি না- তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কোড পরীক্ষার পর তা ঠিক প্রমাণিত হলে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করা ছাড়া প্রতিরক্ষাপ্রধানের সামনে অন্য কোনো উপায় থাকে না।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের হাতেই পরমাণু আক্রমণের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কেবল তিনিই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারেন। আর কারও সেই ক্ষমতা নেই। তবে যদি বেআইনিভাবে প্রেসিডেন্ট পরমাণু হামলার নির্দেশ দেন তাহলে সেনারা তা অমান্য করতে পারেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের ব্রিফকেস রয়েছে তিনটি। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে একটি করে থাকে। আর অন্য ব্রিফকেসটি রাখা থাকে মার্কিন প্রশাসনিক দপ্তর হোয়াইট হাউসে।
জানা গেছে, ব্রিফকেসে থাকা কার্ডে যেসব সংকেত লেখা থাকে, কেবল প্রেসিডেন্টই তা ব্যবহার করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট বদল হলে নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য পুনরায় নতুন করে তা সক্রিয় করা হয়।
পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতি সাধারণত সহজে তৈরি হয় না। তারপরও নিয়ম অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সর্বক্ষণ থাকবে এই কালো ব্রিফকেস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার স্বার্থেই এ বিধান রাখা হয়েছে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.