রাষ্ট্রপতি: সবার ঐক্যমত ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়

নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার বঙ্গভবনে ২০১৯ সালের নির্বাচনে 'নির্বাচন কমিশন' গঠন চলমান আলোচনার অংশ হিসাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি জেএসডির প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ইসি গঠন নিয়ে চলমান আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। দীর্ঘ এক ঘণ্টার ধরে চলমান এই সংলাপে সংসদের আগামী অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে আইন করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করে জেএসডি।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে জেএসডির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতি আ. স. ম. আবদুর রব। জেএসডির প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ গোফরান, সহসভাপতি দবিরউদ্দিন জোয়ার্দার, আবদুর রহমান মাস্টার, তানিয়া ফেরদৌসী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আনসার উদ্দিন।

এছাড়াও সংলাপে অংশ নেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সরোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, জেএসডি নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান করে ওই সরকারের পরামর্শেই ইসি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে। পরে দলটির পক্ষ থেকে ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে তিন দফা প্রস্তাবও দিয়েছে।

বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে আ.স.ম. আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন, 'শীঘ্রই সংসদের অধিবেশন বসবে। পাঁচ মিনিট লাগছে বাকশাল করতে, এখন ওই পাঁচ মিনিটই লাগবে আইন করতে। ইসি গঠন সংক্রান্ত আইটা করে রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি দেখভাল করতে দিলে ভালো কিছু হবে।' দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন জানান, 'আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবশ্যই চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত।'