শচিনকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওয়ার্নার, অস্ট্রেলিয়ার বড় জয়

রান খরার পর অবশেষে হেসেছে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়ার্নারের মতো ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মার্নাস লাবুশানেও। দুইজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ওয়ার্নার-লাবুশেনের জোড়া সেঞ্চুরির পর বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ১২৩ রানের বড় জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

সেঞ্চুরির পর ওয়ার্নারের বুনো উল্লাস

ব্লুমফন্টেইনে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়ার্নার ও হেড। দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এ দজন। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রোটিয়া বোলাররা। পাওয়ার প্লে শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০২ রান।

দলীয় ১০৯ রানের মাথায় বিদায় নেন হেড। তার আগে করেন ৬৪ রান। হেডের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ফিরে যান মিচেল মার্শ। দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতন হলেও তৃতীয় উইকেটে লাবুশানকে নিয়ে জুটি গড়েন ওয়ার্নার। দুজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।

দারুণ ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়ার্নার। সেই সাথে ভাঙ্গেন কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৪৫টি সেঞ্চুরি নিয়ে এতদিন শীর্ষে ছিলেন শচিন। বর্তমানে ৪৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে সবার উপরে বসলেন ওয়ার্নার। সেঞ্চুরির পর ১০৬ রানে বিদায় নেন ওয়ার্নার।

এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ না পাওয়া লাবুশেন। শেষ পর্যন্তু ১২৪ রানে থামেন লাবুশানে। তার মতো ঝড়ো ব্যাট করেছেন জস ইংলিশ। ৩৭ বলে ৫০ রান করেন ইংলিশ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৯২ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের পক্ষে তাবরাইজ শামসি নেন চার উইকেট।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যেমন হওয়া দরকার ছিল তেমনটাই করেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। দলীয় দশম ওভারের প্রথম বলে ডি কককে ৪৫ রানে ফিরিয়ে অজি শিবিরে প্রথম উইকেটের স্বাদ এনে দেন নাথান এলিস। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ৮১ রান। এরপরই ছন্দপতন হয় স্বাগতিক শিবিরে।

দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে বাভুমা করেন ৪৬ রান। ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করামরা দলের প্রয়োজনের দিনে হাল ধরতে পারেননি। হেনরিখ ক্লাসেন ৪৯ রান করে বিদায় নিলেও ধাক্কা এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

খুব স্বাভাবিকভাবেই বড় হারের শঙ্কায় পরে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে ডেভিড মিলার ও মার্কো জানসেনের ব্যাটে হারের ব্যবধান কমায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ২৪১ রানের মাথায় সাজঘরে হাঁটেন মিলার। তার আগে করেন ৪৯ রান। পরের ওভারে ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিরে যান জানসেন।

লোয়ার অর্ডাররা কিছু করতে না পারায় ২৬৯ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যাডাম জ্যাম্পা নেন চার উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন শন অ্যাবট ও এলিস।