‘জর্জিয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দরজা খোলা’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, সংস্থাটির দরজা জর্জিয়ার জন্য খোলা এবং তারা দক্ষিণ ককেশাস রাষ্ট্রটিকে ইইউ সদস্যপদে যাওয়ার পথে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধি হিসাবে জর্জিয়ায় নিজের প্রথম সফরে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর আনাদোলু।

জোসেপ বোরেল

তিনি বলেন, জর্জিয়ার ভবিষ্যতের জন্য এই মুহূর্তটি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়‘। কারণ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এবং প্রথমবারের মতো ইইউ একটি ‘বর্ধিত দেশ’ হিসেবে জর্জিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দরজা জর্জিয়ার জন্য উন্মুক্ত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন জর্জিয়াকে সদস্যপদ লাভের ব্যাপারে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হ্যাঁ, ইইউর দরজা আপনাদের জন্য খোলা এবং আমরা এক্ষেত্রে আপনাদের সমর্থন করতে চাই।

বোরেল বলেন, আমি এক্ষেত্রে জোর দিতে চাই, জর্জিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তবে আমাকে এটি বলতে হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির আবেদনটি আসলে এক ধরনের গুরুতর প্রতিশ্রুতি। এটি এমন কিছু নয়, যা দেশগুলো আগে থেকেই লাভ করে বসে আছে। বরং কিছু কাজের মাধ্যমে এটি অর্জন করতে হয়। কিছু গুরুতর সংস্কার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যবোধ মেনে চলার মাধ্যমে এটি অর্জন করতে হয়।

ইইউ

তিনি বলেন, পরিষ্কার ভাষায় বলতে গেলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে জর্জিয়ার এখনও বেশকিছু কাজ করা বাকি আছে। জর্জিয়াকে ১২টি অগ্রাধিকার পূরণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্রাসেলসকে খুশি করা নয়, বরং জর্জিয়ান নাগরিকদের জীবনকে উন্নত করার জন্য, জর্জিয়ান জনগণের অপ্রতিরোধ্য ইউরোপীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য এগুলো দরকারি।

জর্জিয়ার রাস্তায় উড়তে থাকা ইউরোপীয় পতাকাগুলোর কথা উল্লেখ করে বোরেল বলেন, আমি জানি ৮০ শতাংশ জর্জিয়ান নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে।

এ সময় বোরেল দেশটিকে দেওয়া ইইউর আর্থিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ২০২১-২৪ সময়কালে প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন ইউরো প্রদানের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছি। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

দেশটিতে তার দুই দিনের সফরে বোরেল জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিচভিলি, প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলিয়া দার্চিয়াশভিলি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।