ইন্ডিয়া না ভারত: অমিতাভ বচ্চনের এক টুইটে উত্তাল

বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের একটি অনলাইন পোস্ট সম্প্রতি ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দেশের নাম ইন্ডিয়া হবে নাকি ভারত- তা নিয়েই বিতর্ক করছেন তারা।

বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন

৫ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বিকেলে পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করেন আমিতাভ বচ্চন। ভারতের পতাকার ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ভারত মাতা কি জয়।' আর তার এই পোস্ট নিয়ে বিতর্কে মেতে উঠেছে ভারতবাসী। 

এর আগে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির বাসভবন রাইসিনা হিল থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’ এর পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ লেখা ছিল।     

প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রে ঐতিহ্য অনুযায়ী ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’ এর পরিবর্তে এই শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় যে কোনো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভারতীয় নামকরণে এই ধরনের পরিবর্তন এটিই প্রথম।  

এদিকে ভারতের বিরোধী দলগুলো এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এটি ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বাকযুদ্ধের সূত্রপাত করেছে। বিরোধীরা নামকরণের পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'ভারত শব্দটি সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত রাজ্যগুলোর একটি সমষ্টি হিসেবে বিবেচিত হবে।'  

এ ধরনের বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে এক্সে ‘ভারত মাতা কি জয়’ লিখে পোস্ট করেন বিগ বি। তার এই পোস্টটি যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার কাজটিই করল। তার পোস্টের কমেন্ট সেকশনে অনেকেই ভারত নামের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। আবার অনেকেই ইন্ডিয়া নামটিই সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন।  

এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বীরেন্দর শেবাগও দেশের নাম 'ভারত' রাখার পক্ষে নিজের মতামত জানিয়েছেন। তিনি চান এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতীয় দল যেন  'টিম ইন্ডিয়া' এর পরিবর্তে 'টিম ভারত' হিসেবে পরিচিত হয়।    

উল্লেখ্য, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্রটি ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগদানকারী বিদেশি নেতা এবং দেশটির মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতারা উপস্থিত থাকবেন। 

সূত্র: এনডিটিভি, ডেকান হেরাল্ড