মিরাজ-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ম্যাচে শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

সেঞ্চুরির দেখা পান শান্ত ও মিরাজ

লাহোরে বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া ম্যাচে শুরুতেই চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নাঈম শেখের সঙ্গী হিসেবে মাঠে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নতুন জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। নাঈম-মিরাজের ব্যাটে দিশেহারা হয়ে পড়েন ফজল হক ফারুকী। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তুললেও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। ফেরার আগে বাংলাদেশকে এনে দেন ৬০ রানের উড়ন্ত সূচনা, নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

নাঈমের বিদায়ের পর আবারও চমক। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু এই পরিকল্পনায় ব্যর্থ বাংলাদেশ, কোন রান না করেই ফিরে যান হৃদয়। দারুণ শুরুর পর ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে মিরাজকে সাথে নিয়ে জুটি গড়েন গত ম্যাচের সেরা ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যাটে ধাক্কা কাটিয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ২০তম ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। এরপর দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬৫ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। মিরাজ ও শান্তর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দ্রুত বাড়তে থাকে বাংলাদেশের রান। দলীয় ২৯তম ওভারে দলীয় দেড়শ রান পূর্ণ করে বাংলাদেশ।

ফারুকীকে ছক্কা হাঁকিয়ে চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন শান্ত। দলীয় ৩১তম ওভারে পানি পানের বিরতির সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৭১ রান। বিরতির পর চড়াও হয়ে ওঠে মিরাজ-শান্তর ব্যাট।  মাত্র ৩৩ বলের ব্যবধানে দলীয় দুইশ রান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। এরপর ১১৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পর ১১২ রানে রিটায়ার্ড আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। মিরাজের সেঞ্চুরির দিনে শান্তও তুলে সেঞ্চুরি। কিন্তু সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। রান আউট হয়ে ফিরে যান ১০৪ রানে।

শান্তর বিদায়ের পর ২৫ রানে রান হয়ে ফেরেন মুশফিক। মুশফিক ফিরলে সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়েন অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী। নিজের অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত সাকিবের ১৮ বলে ৩২ ও শামীমের ৫ বলে ১১ রানে ৫০ ওভারে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।