বাজে ব্যাটিং: নিঃশর্ত হারে টাইগারদের শুরু

বোলারদের কিছুই করার ছিল না। ওয়ানডে সংস্করণে ১৬৪ যে মামুলি রান, সেটি শ্রীলঙ্কা হেসেখেলেই বুঝিয়ে দিলো। অনুমিতভাবেই ‘অল্প’ রান আগলে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বিপর্যস্ত ব্যাটিংয়ের মাসুল টাইগারদের দিতে হার দিয়ে। আজ পাল্লেকেলেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের হার দিয়ে শুরু হলো টাইগারদের এশিয়া কাপ মিশন। এই হারে সুপার ফোরে যাওয়ার পথটা সাকিব আল হাসানদের জন্য কঠিন হয়ে গেল।

এবারের এশিয়া কাপে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু ও শেষের বিপর্যয়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ। বাজে ব্যাটিংয়ের ইনিংসে ব্যতিক্রম কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত। এক প্রান্ত আগলে রেখে দীর্ঘ সময় লঙ্কানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন তিনি। বাংলাদেশ দলের সিংহভাগ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। টাইগাররা গুটিয়ে গেছে ইনিংসের ৪৪ বল বাকি থাকতেই।

১৬২ রানে দলের অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন শান্ত। হতাশার ইনিংসের দীর্ঘশ্বাসের গভীরতা বাড়ল তিনি শতক বঞ্চিত হওয়ায়। ১১ রানের জন্য ব্যক্তিগত শতক পাননি শান্ত। ১২২ বলের ইনিংসে সাতটি চার মেরেছেন তিনি। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর শান্ত হাল ধরেছিলেন। চতুর্থ উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।

এই জুটি বিচ্ছিন্ন হতেই ধসে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন। ২০ রানে আউট হন হৃদয়। এ ছাড়া ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ ১৬ ও মুশফিকু রহিম ১৩ রানে আউট হন। অভিষিক্ত ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফেরেন পাঁচ রানে। দলের সাত ব্যাটার যেতে পারেননি দুই অংকে। ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবালের অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেল এদিন।

৩২ রানে চার উইকেট নিয়ে টাইগারদের ধসিয়ে দিয়েছেন মাথিসা পাথিরানা। দুটি শিকার মহেশ থিকসানার। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ভেলালেজ। তাদের দুর্দান্ত বোলিং তোপে ২৩ রানের ব্যবধানে শেষ পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটাররা পারেননি দলকে প্রত্যাশিত সংগ্রহ দিতে। বোলাররাও অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেননি। তবে শুরুতে লঙ্কানদের দুই উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা।

কিন্তু সেটি আভাস পর্যন্তই থেকে গেছে। ১৫ রানে লঙ্কানদের দুই উইকেট নেয় বাংলাদেশ। ৪৩ রানে আরও একটি। পরে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কা টাইগারদের লড়াইয়ে ফেরার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন। দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ৭৭ বলে ৫৪ রানে আউট হন সাদিরা। তবে আসালাঙ্কা ম্যাচটা শেষ করেই এসেছেন। ৯২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ১৪ রানে আউট হন। শেষ দিকে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ১৪ রানে অজেয় থাকেন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সাকিব। ২৯ রানে দুই উইকেট নেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।