এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ রানসংগ্রাহক

আর মাত্র ৮ দিন পর মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপকে ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যেই। আসরকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবি।

তামিম ইকবাল (বামে) আকরাম খান (মাঝে) মুশফিকুর রহিম (ডানে)

ইনজুরির কারণে এবারের আসর মিস করবেন এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল খান। এছাড়াও স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও। তামিম-রিয়াদ না থাকলেও একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার নিয়ে ২৭ আগস্ট দেশ ছাড়বেন বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

১৯৮৮ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একটা সময় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ভরসার নাম ছিলেন আতহার আলী খান, আকরাম খানরা। সময়ের পরিবর্তনে এখন রাজত্ব করছেন সাকিব-তামিম-মুশফিকুর রহিমরা।

২০০৮ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপে অংশ নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ২১ ম্যাচে ৩৬.৭৮ গড়ে ৬৯৯ রান করেন মুশফিক। রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ রান ১৪৪।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তামিম ইকবাল। ১৩ ম্যাচে ৪৩.২৫ গড়ে ৫১৯ রান করেছেন তিনি। কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও রয়েছে ৬টি ফিফটি।

সেরা পাঁচ রানসংগ্রাহকের সেরা তিনে রয়েছেন পঞ্চপাণ্ডবের সেরা পাণ্ডব সাকিব আল হাসান। সেরা পাঁচের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ১০০+ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন সাকিব। তামিমের সমান ১৩ ইনিংসে ৩৫ গড়ে ৪০২ রান করেছেন সাকিব। রয়েছে ৩ ফিফটি, স্ট্রাইকরেট ১০৩.০৭।

তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম নামে রয়েছে চমক। মাত্র ১১ ইনিংসে ৩৬.৮০ গড়ে ৩৬৮ রান করে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ী ক্রিকেটারও তিনি।

সেরা পাঁচের শেষ নামটি আকরাম খান। ১৯৮৮-২০০০ সাল পর্যন্ত মোট ১৩ ম্যাচে ২৮.৭৫ গড়ে ৩৪৫ রান করেন আকরাম খান। রয়েছে দুই ফিফটি, সর্বোচ্চ রান ৬৪।

আসন্ন এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রয়েছেন মুশফিক ও সাকিব। এছাড়াও স্কোয়াডে থাকা লিটন দাস করেছেন ৬ ম্যাচে ১৮১ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর রান ৩ ইনিংসে ২০ ও মেহেদি হাসান মিরাজ করেছেন ৬ ম্যাচে ১১০ রান।