মিয়ানমার: ৬ মাসে তিন হাজার সেনা নিহত!

মিয়ানমারে সামরিক সরকারবিরোধী ছায়া সরকার বলে পরিচিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) দাবি করেছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩ হাজারের বেশি জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে আরও চার হাজার জান্তা সেনা। খবর দ্য ইরাবতি।

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী

খবরে বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে জান্তা বাহিনী এবং এনইউজির সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও সহযোগী সশস্ত্র সংস্থাগুলোর (ইএও) মধ্যে মোট ৯৩৫টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে তিন হাজার ১২ জন জান্তা সেনা নিহত এবং ৪ হাজার ২১ জন সেনা আহত হয়েছে। তবে প্রতিরোধবাহিনীর কতজন যোদ্ধা হতাহত হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানায়নি তারা।

এনইউজির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি উ মং মং সোয়ে জানান, গত ছয় মাসের সংঘর্ষে পিডিএফ এবং মিত্র ইএও বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৫টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কায়াহ প্রদেশের ১০টি, সাগাইং অঞ্চলের ছয়টি এবং দেশের নিম্নাঞ্চলের ১৯টি ঘাঁটি।

প্রতিরোধবাহিনীর হাতে আটক সরকারি বাহিনীর বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র

জান্তা সরকারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরোধের সময় সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ১৫টি পুলিশ স্টেশন এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১০টি ফাঁড়িও দখল করে নেয়। শুধু তাই নয়, জান্তাপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী পিউ সাউ হতির ১৪টি ঘাঁটিও দখল করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এনইউজি।

এনইউজি আরও জানায়, তারা বছরের প্রথম ছয় মাসে জান্তা ঘাঁটি এবং সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ২৫৫টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের সময় তারা সরকারি বাহিনীর ৩০ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ, ৮০০টি বিস্ফোরক ডিভাইস এবং ২০৩টি সামরিক-গ্রেডের অস্ত্রও জব্দ করে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক জান্তা গোষ্ঠী। এ সময় বিরোধী দলগুলো ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) নামে একটি সমান্তরাল সরকার গঠন করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আসছে এনইউজি।