‘স্টোকস-গ্রিনদের মতো ক্রিকেটারের অভাব ভারতে’

সবশেষ দুটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছে ভারত। কিন্তু দু'বারই হারের তীক্ষ্ণ স্বাদ নিতে হয়েছে ভারতকে। ঘরের মাঠে ভারত সাফল্য পেলেও দেশের বাইরে সাফল্য না পাওয়ার কারণ বেন স্টোকস, ক্যামেরুন গ্রিনদের মতো ক্রিকেটারের শূন্যতা। এমনটাই মনে করেন ইংল্যান্ডের নাসের হুসেইন।

বেন স্টোকস (বামে), নাসের হুসেইন (মাঝে), ক্যামেরুন গ্রিন (ডানে)

ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল সাজাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ভারত। ২০১৩ সালের পর আইসিসির বড় ইভেন্টে শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। ঘরের মাঠে সেই আক্ষেপ পূরণের স্বপ্নে যখন বিভোর ভারত, তখনই হুসেইন জানালেন তাদের পিছিয়ে থাকার কারণ।

সাদা পোশাকে প্রায় পাঁচ বছর আগে খেলেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বর্তমানে শার্দুল ঠাকুর খেললেও মূলত পেস বোলিং অলরাউন্ডার ধরা হয় তাকে। ক্রিকেটের রাজকীয় এই ফরম্যাটে ভালো করতে হলে ব্যাটে-বলে সমান ভূমিকা রাখতে পারবে এমন একজন ক্রিকেটারের প্রয়োজন ভারতের। বর্তমানে এই জায়গাতে বেশ পিছিয়ে ভারত।

সম্প্রতি আইসিসির রিভিউ শো’তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাসের বলেন, ‘ভারত দেশের মাটিতে দুর্দান্ত। ঘরের মাঠে দলের ভারসাম্যও দারুণ। দলে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মত ক্রিকেটার রয়েছে, যারা বিশ্ব মানের। নতুন করে কিছু ক্রিকেটার উঠে আসছে। শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়ালরা ভাল করছে। যশপ্রীত বুমরাহ যদি ফিরে আসে তাহলে এই ফরম্যাটে ভাল করার ক্ষমতা রাখে। দলে অভিজ্ঞ ও তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। জেনুইন স্পিন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন আছে। বেশ ভারসাম্য একটা দল, সাত নম্বরেও ভালো ব্যাটার রয়েছে।’

ব্যাটিং, বোলিং বা স্পিন অলরাউন্ডারের দিক দিয়ে ভারসাম্য দল হলেও পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব রয়েছে ভারতের। দেশের বাইরে তথা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলতে গেলে সেটি ভালভাবেই টের পায় ভারত। দেশে স্পিনিং অলরাউন্ডাররা ফলাফল এনে দিলেও দেশের বাইরে সেটি সম্ভব হয় না বেশিরভাগ সময়।

বর্তমানে ওয়ানডে ও টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য হার্দিক পান্ডিয়া। নতুন বলে বোলিং করতে দেখা যায় তাকে। হার্দিককে টেস্টের জন্যও উপযোগী মনে করেন নাসের। একই সাথে দলে স্টোকস-গ্রিনদের মতো ক্রিকেটারের অভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভারত দেশের বাইরেও ভারসাম্য পূর্ণ দল হয়ে উঠতে পারে, যদি তারা একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার পায়। ফিট থাকলে হার্দিক পান্ডিয়া এই জায়গায় উপযোগী হতে পারে। ভারতে যদি একজন স্টোকস, ক্যামেরুন গ্রিন, মিচেল মার্শদের মতো অলরাউন্ডার থাকে যারা ১০-১৫ ওভার বোলিংয়ের পাশাপাশি সাতে ব্যাটিং করতে পারবে। তাহলে দেশের বাইরেও ভারত ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়ে উঠতে পারবে।’