ইকুয়েডর: নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিহত

নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও। পরে পুলিশের পাল্টা গুলিতে আহত বন্দুকধারী মারা যান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির রাজধানী কুইটোতে এ ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরা।

ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। ভিলাভিসেনসিওর স্ত্রী-সন্তানের প্রতি সংহতি ও সমবেদনা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

এ ঘটনার পরপরই জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট গুইলারমো। বৈঠকে তিনি বলেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ, যা পুরো দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

নির্বাচনী প্রচারণায় ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও

এদিকে ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও কুইটো শহরের একটি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছিলেন। সেখানে একটি মিছিল শেষ হওয়ার পর এক বন্দুকধারী ফার্নান্দোকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তার মাথায় তিনটি গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ওই বন্দুক হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইকুয়েডরে মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন আন্দিয়ান প্রদেশের চিম্বোরাজোর বাসিন্দা ৫৯ বছর বয়সী ফার্নান্দো। তিনি দেশটির মুভিমিয়েন্তো কনস্ট্রুয়ে দলের নেতা। আর মাত্র দশদিন পর ২০ আগস্ট ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া আটজন প্রার্থীর অন্যতম ছিলেন ফার্নান্দো। তিনি সাবেক একজন আইনপ্রণেতা। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোকুয়েডরের ইউনিয়ন সদস্য হওয়ার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতাও করতেন।

ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফার্নান্দোকে গুলি করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে আহত হওয়ার পর মারা গেছেন।