১০ ওভারের ম্যাচে ৩০০ রান!

এই শতাব্দীতে ক্রিকেট ছোট হয়ে এসেছে। সাদা বলের সংস্করণ ওয়ানডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এরপর এসেছে ১০০ বলের ক্রিকেট। ক্রিকেটের আরও ছোট সংস্করণ আছে। সেটি হচ্ছে টি-টেন। ৬০ বলের ইনিংসে সাধারণত বোলারদের ওপর ঝড় বয়ে যায়।

ফাইল ছবি

যেমনটি গেল শুক্রবার রাতে; ইসিএস সুইজারল্যান্ডের জুরিখ নোম্যাডস বোলারদের ওপর। তাদের বেধড়ক পিটিয়ে ১০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে জুরিখ ক্রিকেটস। পাহাড়সম এই রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ১২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নোম্যাডস।

অর্থাৎ প্রায় কুড়ি ওভারে ৩০০ রান তুলেছে দুই দল। ম্যাচটায় দুই দল মিলে ছক্কা মেরেছে ৩৫টি। চার-ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে জুরিখ ক্রিকেটস জিতেছে ৪২ রানের বিরাট ব্যবধানে। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফেরদৌস রহিম। কিন্তু আফসোস তার।

সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন ফেরদৌস। ৩২ বলে ৯৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান জুরিখ ক্রিকেটসের এই ব্যাটার। ইনিংসে ১৩টি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন তিনি। ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ফেরদৌস। পরের ফিফটিটা ১৫ বলেই ছুঁতে পারতেন তিনি।

কিন্তু আউট হয়ে যাওয়ায় সেঞ্চুরির স্বপ্নটা পূরণ হয়নি তার। জুরিখস ক্রিকেটসের ওপেনার সাহিল তারাখিল আবার হাতছাড়া করেছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ১৬ বলে সাত ছক্কার ওপর দাঁড়িয়ে ৪৭ রান করেন সাহিল। নোম্যাডসের হয়ে দুটি উইকেট নেন আমজাদ রহমানি।

বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকটে হারিয়েছে জুরিখ নোম্যাডস। ১৪ বলে সর্বোচ্চ ২৭ রান এসেছে জাভেদ ড্যানিশের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া হাসান আহমেদ ছয় বলে ২৩, তরনীধরন ১৫ বলে ২১ ও ফাহিম নাজির পাঁচ বলে ১৬ রানে আউট হন।

জুরিখ ক্রিকেটসের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ফেরদৌস, সাহিল ও সাহাবউদ্দিন জাজাই। তবে পাদ প্রদীপে থাকলেন কেবল প্রথমজনই।