মামলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা!

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা যতই বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তার জনপ্রিয়তা। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে এসব মামলা ট্রাম্পের জন্য শাপে বর হয়ে দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী যে যা-ই মনে করুক না কেন, অধিকাংশ রিপাবলিকান ট্রাম্পের চোখেই পৃথিবী দেখে। খবর বিবিসি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই ফের নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। এখন নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রিপাবলিকান দলের আরও অনেকে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দলের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখন পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য। অন্য কোনো প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যেখানে ছয় শতাংশের ওপর ওঠেনি, সেখানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে আগামী নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার আশা করছেন ট্রাম্প।

সাবেক এ প্রেসিডেন্ট গত চারমাসের মধ্যে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। এগুলো হচ্ছে- অর্থসংক্রান্ত অপরাধ, ফেডারেল গোপনীয় দলিলপত্র নিজের কাছে রাখা এবং এর তদন্তে বাধা সৃষ্টি। গত মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে নতুন করে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও লড়বেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে

একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এত অভিযোগে যেখানে হতবাক বিশ্ব, সেখানে রিপাবলিকানরা মনে করে, ট্রাম্প অপরাজনীতির শিকার। জনমত যাচাই প্রতিষ্ঠান ইপসসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ক্লিফোর্ড ইয়ং বলেন, তার দলের ৪০-৪৫ শতাংশ সমর্থকই মনে করে, ট্রাম্পের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে এবং তার প্রতি আনা অভিযোগগুলো পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

উল্টো তারা মনে করেন, গত নির্বাচনে জিতে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টিই আইনসিদ্ধ হয়নি। সেগুলো ধামাচাপা দিতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনকেন্দ্রিক এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো থেকে নজর ঘোরাতেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে ট্রাম্পকে।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, রিপাবলিকান দলের অনেকেই ট্রাম্পের চোখ দিয়েই দুনিয়া দেখে। এরমধ্যে কেবল সাধারণ সমর্থকই নয়, দলের বড় বড় নেতারা এমনকি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরাও রয়েছেন। যেমন দেশটির হাউস স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থির মতে, হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক অনিয়মের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ট্রাম্পকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আবার সিনেটর টিম স্কট হান্টার বাইডেন ও ট্রাম্পের ক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থার বৈষম্য দেখতে পেয়েছেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান দলের আরেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাসোয়ামি মনে করেন, ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্প মোটেই দায়ী নয়। সবমিলিয়ে এসব মামলা ট্রাম্পের জন্য উপকারই বয়ে আনছে।