৯ আগস্ট সংসদ ভেঙ্গে দিচ্ছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, আগামী ৯ আগস্ট দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জোট সরকারের অংশীদারদের নিয়ে আয়োজিত এক নৈশভোজে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাধারণ নির্বাচনের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই তিনি এ কথা জানিয়েছেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও জিও নিউজ।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট

গত বছরের এপ্রিলে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। তবে সে সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১২ আগস্ট। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট নির্ধারিত মেয়াদ পূর্ণ করলে নির্বাচন হতে হয় ৬০ দিনের মধ্যে। আর যদি মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য সময় পাওয়া যাবে ৯০ দিন।

গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ জোট সরকারের অংশীদারদের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানসহ পুরো তত্ত্বাবধায়ক সেটআপ নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে বলা হয়, আগামী ৯ আগস্ট শাহবাজ শরিফ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবেন। সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্টকে এ প্রস্তাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট তাতে স্বাক্ষর না করেন, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে।

শাহবাজ শরিফ

পরে বিরোধীদলসহ সবার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্টের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম প্রস্তাব করা হবে। আর যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) বিভিন্ন দলের দেওয়া প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে একজনের নাম তত্ত্বাবধায়কপ্রধান হিসেবে মনোনীত করবে।

গত সপ্তাহে শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিজিটাল আদমশুমারির ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে অবশ্য তার সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী জানিয়েছিলেন ২০১৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এ ব্যাপারে শাহবাজ শরিফ বলেন, সাধারণত বড় ধরনের কোনো সমস্যা না থাকলে সর্বশেষ আদমশুমারিমতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর আমি সে ধরনের বড় কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না। ফলে ২০২৩ সালের আদমশুমারি অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।