রাশিয়াকে ধ্বংস করতে ‘বিস্ময়কর অস্ত্র ভিক্ষা’ করে বেড়াচ্ছে ইউক্রেন

রাশিয়াকে ধ্বংস করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর কাছে ‘বিস্ময়কর অস্ত্র’ ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে ইউক্রেন। তাদের এই বিস্ময়কর অস্ত্র এখন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আকার নিয়েছে। রাশিয়ার একজন শীর্ষ আইন প্রণেতা বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এ কথা বলেছেন। খবর আনাদোলু।

স্টেট দুমার স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন

রুশ স্টেট দুমার স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন টেলিগ্রামে লেখেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে অপরাধী কিয়েভ প্রশাসন ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের কাছে ‘আশ্চর্য ধরনের কোনো অস্ত্র’ ভিক্ষা করছে, যা তাদের সব সমস্যার সমাধান করে দেবে।

ভলোদিন বলেন, জেলেনস্কির এই বিস্ময়কর বা আশ্চর্য ধরনের অস্ত্রগুলো একেক সময় একেক রূপ লাভ করে। প্রথম পর্যায়ে এই অস্ত্রগুলো ছিল যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত হাউইৎজার। পরে সেটি হয় হাইমার্স মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম। এরপর ধীরে ধীরে সেটি লেপার্ড ও ব্র্যাডলি ট্যাঙ্কে পরিণত হয়েছিল।

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান

স্টেট দুমার স্পিকার আরও বলেন, ইউক্রেন একেক সময় এক অস্ত্রকে বিস্ময়কর অস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করেছিল, এসব অস্ত্র পেলে রাশিয়াকে প্রতিরোধ করা যাবে, তাদেরকে পরাজিত করা যাবে। কিন্তু এসবের কোনোটিই ইউক্রেনকে সেভাবে সাহায্য করেনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সৈন্যরা এসব পশ্চিমা সরঞ্জাম অস্ত্র পুড়িয়ে দিচ্ছে। এখন কিয়েভ সরকার পশ্চিমা বিশ্ব ও ইইউর কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দাবি করছে। তারা মনে করছে এ বিমান দিয়ে তারা রাশিয়াকে পরাজিত করবে। কিন্তু তাদের সে আশাও ধূলিস্যাৎ হবে। কারণ এই যুদ্ধবিমান পেলে সেগুলোও আমাদের পাইলট ও বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।

ভলোদিন দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রেরিত কোনো নতুন অস্ত্র বিশেষ সামরিক অভিযানের ফলকে প্রভাবিত করতে পারবে না। বরং এই যুদ্ধে অকার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আর এসব অস্ত্র কিনতে চাইবে না।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে ধারাবাহিকভাবে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই সরাসরি যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দেয়নি। অবশ্য কিয়েভের চাপাচাপিতে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনীয় পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।