‘দয়া করে থামুন, যথেষ্ট হয়েছে’

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বসেছে নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপ। ইতালির বিপক্ষে ১-০ গোলের হার দিয়ে শুরু হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মিশন। প্রথম ম্যাচের হার ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছেন আর্জেন্টিনার ইয়ামিলা রদ্রিগেজ। পায়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ট্যাটু এঁকে সমালোচিত হওয়ায় রদ্রিগেজ হতাশা প্রকাশ করেছেন। আক্ষেপের সুরে বলেছেন ‘দয়া করে থামুন, যথেষ্ট হয়েছে।’

ইয়ামিলা রদ্রিগেজ

গত সোমবার (২৪ জুলাই) আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নামেন ২৫ বছর বয়সী রদ্রিগেজ। যেখানে দেখা যায় দুই পায়ে অনেক ট্যাটু এঁকেছেন তিনি। তবে, বাঁ পায়ের নিচের অংশে রোনালদোর ট্যাটু এঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। যদিও, উপরের অংশে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ট্যাটুও এঁকেছেন রদ্রিগেজ। মূলত মেসির ট্যাটু না এঁকে রোনালদোর ট্যাটু এঁকে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।

একদিকে হার, অপরদিকে সমর্থকদের এমন সমালোচনায় হতাশ হয়ে পড়েছেন রদ্রিগেজ। এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সমর্থকদের সমালোচনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রদ্রিগেজ বলেন, ‘দয়া করে থামুন, যথেষ্ট হয়েছে। এমনিতেই আমার সময়টা ভালো যাচ্ছে না।’

আর্জেন্টিনাইন সমর্থকদের দাবী, রদ্রিগেজ মেসি বিরোধী। এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে দর্শকদের কাছে প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন রদ্রিগেজ। রদ্রিগেজের ভাষায়, ‘আমাকে এন্টি-মেসি (মেসি বিরোধী) বলা বন্ধ করুন। এমন কিছু বলবেন না, যা আমি কখনও বলিনি। এটা সত্য যে, আমি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তোমাদের (সমর্থক) জন্য এই খারাপ সময়ে পড়েছি। আমাকে নিয়ে নির্বিচারে নৃশংসভাবে কথা বলা হচ্ছে। তোমাদের কী কোনো পছন্দের খেলোয়াড় কিংবা আদর্শ থাকতে পারে না?’

লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার তো বটেই, বিশ্বের সেরা ফুটবলার। রদ্রিগেজও মেসিকেই সেরা মানেন। কিন্তু, রদ্রিগেজের অনুপ্রেরণা ও আদর্শ পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। রোনালদোকে আদর্শ মানায় কোনো সমস্যা দেখছেন না রদ্রিগেজ।

এ বিষয়ে রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমি কখনই মেসি বিরোধী ছিলাম না, হবও না। তিনি আমাদের জাতীয় দলের সেরা অধিনায়ক। কিন্তু আমার আদর্শ ও অনুপ্রেরণায় রয়েছেন রোনালদো। তার মানে এই না যে, আমি মেসিকে ঘৃণা করি। আমি একজন ফুটবলারকে পছন্দ করি, যিনি আমাকে বেশি অনুপ্রাণিত করেন। এখানে সমস্যাটা কোথায়?’

কয়েকদিন ধরে সমালোচনা ঘিরে ধরেছে রদ্রিগেজকে। তাই বেশ কান্ত ও হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রদ্রিগেজ মনে করেন, তার পছন্দের খেলোয়াড় যেকোন দেশেরই হতে পারে। এছাড়াও সবাইকে সমালোচনা বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমি কেবল নিজের দেশের খেলোয়াড়কেই পছন্দ করতে বাধ্য নই। বোঝার চেষ্টা করুন, এটা ফুটবল, এখানে সবারই স্বকীয়তা, উপস্থিতির ভিন্ন ধরন ও ফোকাসের বিষয় থাকতে পারে। তার মানে এই না যে, বাকিরা আড়ালে থাকবে। যথেষ্ট হয়েছে, এবার থামুন। আপনাদের কথা আমাকে ক্লান্ত ও ব্যথিত করেছে।’