তবুও জ্যোতির কণ্ঠে ৫-১০ রানের আক্ষেপ

গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা হিসেবে পরিচিত ক্রিকেট। সেটি আরও একবার প্রমাণ হয়েছে মিরপুরে। ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ‘টাই’ করার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ভাগাভাগি করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচ টাই করে ইতিহাস গড়লেও টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কণ্ঠে ভেসে এলো ৫-১০ রান কম করার আক্ষেপ।

টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি

দুই ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা থাকায় তৃতীয় ম্যাচটি দাঁড়িয়েছিল অলিখিত ফাইনাল হিসেবে।  শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ফারজানা হক পিংকিং ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির পর বোলারদের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে ম্যাচটি ‘টাই’ করে বাংলাদেশ।

টাইগ্রেসদের উদযাপন বলে দেয় এটি জয়ের চেয়ে কোন অংশে কম ছিল না৷ তবে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জ্যোতির কণ্ঠে ভেসে এলো আক্ষেপের সুর। তার মতে আর ৫-১০ রান করতে পারলেই জয় পেত বাংলাদেশ।

নিগার সুলতানা বলেন, ‘দারুণ একটা ম্যাচ, আমাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের সাহায্য করবে। যখন টস জিতেছিলাম তখন ২৩০ রানের মতো করতে চেয়েছিলাম। ফারজানা সেঞ্চুরি পেয়েছে। এরপর মনে হয়েছিল ৫-১০ রান কম হয়েছে। তবে, মেয়েরা যেভাবে লড়াই করেছে, এটা অবিশ্বাস্য।’

বাংলাদেশের দেওয়া ২২৬ রান তাড়া করতে নেমে জয়ের পথেই হাঁটছিল ভারত। ৩৮তম ওভার শেষে বৃষ্টি বাগড়া দিলে ভারতের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ১৭৩ রান। এরপর কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হলে ভারতের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৭২ বলে ৫৩ রান। হাতে ৬ উইকেট থাকলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জেতা হয়নি ভারতের।

মূলত বৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছিল সেটিই বলতে চাইলেন জ্যোতি। কেননা, এই বিরতিতে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করেছিল। জ্যোতি বলেন, ‘বিরতিতে আমরা বলাবলি করছিলাম। ম্যাচটি দুইভাবে এগুতে পারে। হয় ওরা আমাদের চেপে ধরবে, নয়তো আমরা ওদের চেপে ধরব। নাহিদাসহ সবাই দুর্দান্ত বোলিং করেছে।’