আপনি পড়ছেন

চীনের নেতা শি জিনপিং তার পুরোনো বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারকে বেইজিংয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। ২০ জুলাই, বৃহস্পতিবার কিসিঞ্জার চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তিনি চলতি সপ্তাহে আকস্মিকভাবে ব্যক্তিগত সফরে চীন গিয়েছিলেন। খবর আল জাজিরা।

henry kissinger xi jinpingহেনরি কিসিঞ্জার ও শি জিনপিং

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন তাদের সম্পর্ক উন্নত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ রকম একটি সময়ে এই সফরে গিয়েছেন শতবর্ষী কিসিঞ্জার। স্নায়ুযুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৭০ এর দশকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি, কিসিঞ্জারকে বলেছেন, 'চীনা জনগণ বন্ধুত্বকে মূল্য দেয়। আমরা আমাদের পুরানো বন্ধু এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নয়নে, চীনা ও আমেরিকান জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানোর জন্য আপনার ঐতিহাসিক অবদানকে কখনই ভুলব না।'

শি আরও বলেছেন, ‘এতে কেবল দুই দেশই উপকৃত হয়নি, বরং বিশ্বব্যাপীও পরিবর্তন হয়েছে। চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও একবার একটি সংযোগস্থলের মধ্যে রয়েছে এবং উভয় পক্ষকেই আবারও উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'

হেনরি কিসিঞ্জার নিজ দেশে বিতর্কিত হলেও চীনে অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত। ফলে তার এই সফরের সময় চীন তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করেছে। বেইজিংএর দিয়াওউতাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে কিসিঞ্জারকে স্বাগত জানিয়েছেন শি জিনপিং। সাধারণত চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপল এ বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে সরকারি বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়। সে তুলনায় এই অতিথি ভবনে একান্ত গুরুত্বপূর্ণ কারো সঙ্গে বৈঠক করা হয়।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ুবিষয়ক দূত জন কেরি ১৬ জুলাই জলবায়ু নিয়ে আলোচনার জন্য চীন সফর করেছিলেন। অথচ সে সময় তিনি কিসিঞ্জারের মত অভ্যর্থনা পাননি। এছাড়া মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনও জুলাইয়ের শুরুতে চীন সফর করেছিলেন। বেইজিংয়ে থাকাকালীন কেরি এবং ইয়েলেনের কারও সঙ্গেই সাক্ষাত করেননি চীনা প্রেসিডেন্ট। অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জুনে বেইজিং সফরের সময় শির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

কিসিঞ্জার ১৯৭১ সালে প্রথম চীনে যান। তারপর থেকে তিনি ১০০ বারের বেশি চীন সফর করেছেন বলে জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি।

এদিকে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চীন সফরটি কোনো সরকারি সফর ছিল না। ১৮ জুলাই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেছেন, কর্মকর্তারা কিসিঞ্জারের সফর সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই সফর করছেন। তবে তার এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা যেন কমে যায়, তা উভয় দেশের কর্মকর্তারা প্রত্যাশা করছেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.