নামাজ আদায় করা যাবে লন্ডনের বিখ্যাত ট্রোকাডেরো ভবনে

লন্ডনের একসময়ের বিখ্যাত বিনোদনকেন্দ্র ট্রোকাডেরো কমপ্লেক্সে তৈরি করা হবে মসজিদ। এরইমধ্যে এ ব্যাপারে অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাজ্যের মুসলিম দাতব্য সংস্থা আজিজ ফাউন্ডেশন। ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিল ট্রোকাডেরো কমপ্লেক্সের একটি অংশে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার করার এ অনুমতি দিয়েছে। খবর আরব নিউজ ও ডেইলি মেইল।

ট্রোকাডেরো কমপ্লেক্স

আজিজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, লন্ডনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থলে নামাজ আদায়ের কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি উল্লেখ করে ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের কাছে একটি মসজিদ করার অনুমোদন চাইলে ৩৯০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ মসজিদ করার অনুমোদন পাওয়া যায়।

এক বিবৃতিতে আজিজ ফাউন্ডেশন আরও জানায়, ট্রোকাডেরো কমপ্লেক্সের বেজমেন্টের খালি জায়গা মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। কমিউনিটি হল ও নামাজের প্রধান স্থান হিসেবে ভবনের একদম নিচের বেজমেন্ট ব্যবহৃত হবে। সেখানে একসঙ্গে ২৫০ জন নামাজ আদায় করতে পারবে। আর মেজানিন ফ্লোরে আরও ১৪০ জনের নামাজ পড়ার জায়গা থাকবে। এখানে জুমার নামাজ পড়ারও ব্যবস্থা থাকবে, তবে ঈদের নামাজ ও জানাজার নামাজ পড়ার সুযোগ থাকবে না। শনিবার ও রোববার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকবে।

পিকাডিলি প্রেয়ার স্পেস

এই এলাকায় যেসব মুসলিম কর্মরত আছেন, যারা ভ্রমণে আসেন বা এই এলাকায় বসবাস করেন, এখন থেকে তাদের নামাজ আদায়ের জন্য স্থানটি ব্যবহৃত হবে। তবে মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ভবনটি আগের মতোই সব ধর্মাবলম্বী ও দলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

লন্ডনের ওয়েস্ট অ্যান্ড সিটির পিকাডিলি সার্কাস ও সোহোর মধ্যখানে ১৮৯৬ সালে নির্মিত হয় ট্রোকাডেরো কমপ্লেক্স। ভবনটি প্রথম সাত দশক রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৬৫ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৪ সালে সেখানে প্রদর্শনীস্থল ও দ্য মেট্রো নামে সিনেমা হল চালু হয়। ভবনটি তখন লন্ডনের প্রধান বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গণ্য হতো। এখানে ৪৯০টি রুমবিশিষ্ট জেডওয়েল নামে একটি হোটেলও রয়েছে। ১৯৯৭ সালে এটি ছিল যুক্তরাজ্যের প্রথম থ্রিডি আইম্যাক্স সিনেমার প্রধান কেন্দ্র। বর্তমানে ভবনটিতে কেবল হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে।

জানা গেছে, ২০০৫ সালে ব্রিটিশ উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী আসিফ আজিজ ২২ কোটি পাউন্ডের বেশি অর্থ দিয়ে ভবনটি কিনে নেন। সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান আজিজ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ভবনটিতে এখন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার তৈরি করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে স্থানটি নামাজের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হতে পারে পিকাডিলি প্রেয়ার স্পেস।