নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানালেন মরক্কোর রাজা

মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দেশটিতে একটি সরকারি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ১৯ জুলাই, বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েল বিতর্কিত পশ্চিম সাহারাকে মরক্কোর অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দুই দিন পর এই আমন্ত্রণ পেলেন নেতানিয়াহু।

মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

একটি ব্যক্তিগত চিঠিতে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ ইসরায়েলকে তার অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, নেতানিয়াহুর এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে। মরক্কোর জাতীয় সংবাদ সংস্থা, এমএপি এই চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জাচি হানেগবি এবং মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বোরিতা বুধবার নেতানিয়াহুর সফরের তারিখ নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছেন। এর ফলে প্রথমবার কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী উত্তর আফ্রিকার আরব এই দেশটি সফরে যাবেন।

স্প্যানিশ উপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর ১৯৭৫ সাল থেকে পশ্চিম সাহারা মরক্কোর নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু মরক্কোর অংশ হিসেবে এই অঞ্চলটির কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না।

মরক্কো বরাবরই পশ্চিম সাহারাকে তার নিজস্ব এলাকা বলে মনে করে। তবে আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসারিও ফ্রন্ট সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে আসছে।

২০২০ সালে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে পশ্চিম সাহারাকে মরক্কোর অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছিলেন। ফলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল মরক্কো। একই বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বভাবিক করার চুক্তি করে। ফিলিস্তিনিরা এই চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা এটিকে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলে উল্লেখ করেছে।

এদিকে বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর সার্বভৌমত্ব সবসময় স্বীকার করে আসছে।

সূত্র: রয়টার্স