এরদোয়ানের সফরে তুর্কি-আমিরাতি সম্পর্কে নতুন মোড়

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ১৯ জুলাই, বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন। আমিরাতি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ রাজধানী আবুধাবিতে এরদোয়ানকে স্বাগত জানিয়েছেন। এবারের সফরে তিনি বিনিয়োগ বাড়াতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন গতির দিকে নজর দিয়েছেন। আমিরাতের সরকারী বার্তা সংস্থা ওয়াম এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

ওয়াম এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে তুরস্কের গুরুত্ব রয়েছে। ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এবং সহযোগিতা বাড়াতে চায় আমিরাত।

আমিরাতের প্রেসিডেন্ট টুইটারে এক বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘আজ আবুধাবিতে আমি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা উপভোগ করেছি। আমরা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ, ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায়গুলো অন্বেষণ করেছি। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তুরস্ক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

এরদোয়ান বুধবার আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে পৌঁছেছেন। তিনি বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছেন এবং এই অঞ্চলের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ৫০.৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

দুই নেতা একটি উচ্চ স্তরের কৌশলগত কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হন। এই কাউন্সিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করবে। এই সফরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বেশ কিছু চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে যা দুই দেশের সহযোগিতাকে আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট ১৭ জুলাই, সোমবার সৌদি আরব সফরের মাধ্যমে উপসাগরীয় তিনটি দেশে সফরের সূচনা করেছেন। এরপর ১৮ জুলাই তিনি কাতার যান। তুরস্কের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য তিনি সৌদি এবং কাতারের সঙ্গে লাভজনক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

এরদোয়ান কাতারি আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে দেখা করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ এবং সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে সম্মত হন। বুধবার সর্বশেষ তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে তার উপসাগরীয় দেশে সফর সমাপ্ত করেন।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ, দ্য ন্যাশনাল