এ কী বললেন বাইডেন, রাশিয়ায় রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করা উচিত!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া খুব সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে ‘রাশিয়ার’ ওপর তার আক্রমণ বন্ধ করে। এর পরপরই নিজের ভুল সংশোধন করে নেন বাইডেন। সবচেয়ে বেশি বয়সী মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবারই জনসমক্ষে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন।

জো বাইডেন

গত বুধবার লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে ন্যাটো সম্মেলনের বক্তৃতার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়া ও ইউক্রেনকে গুলিয়ে ফেলেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষা করে এবং রাশিয়ার ওপর তার অমানবিক আক্রমণ বন্ধ করে আগামীকালই এ যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে। পরে দ্রুত নিজেকে সংশোধন করে বলেন, আমি বলতে চাইছি ইউক্রেনের ওপর হামলা বন্ধ করে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বিষয়টিকে বাইডেনের ‘স্লিপ অব টাং’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অবশ্য গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবারই বাইডেনের কাছ থেকে এমন নজির পাওয়া গেছে। দুই সপ্তাহ আগে হোয়াইট হাউসের বাইরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছিলেন, রাশিয়া ‘ইরাকে’ যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

এর আগে তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে ভারতের কথা বলতে গিয়ে চীনের নাম উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, আপনারা নিশ্চয় আমাদের প্রিয় বন্ধু ‘চীনের’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চেনেন, ক্ষমা করবেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চেনেন ...।

গত বছরের নভেম্বরে ফ্লোরিডায় দেওয়া এক ভাষণে মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ রাশিয়ার সঙ্গে ইরাকের যুদ্ধ।

বাইডেনের এসব কথাকে অবশ্য মার্কিন কর্মকর্তারা শৈশব তোতলামির একটি প্রভাব হিসেবে বর্ণনা করেন। আবার কেউ কেউ বলেন, তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাই তিনি সিপিএস মেশিন ব্যবহার করেন। এর প্রভাবেও তার ভাষণে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শুধু বাইডেনই নয়, গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার চলমান যুদ্ধের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে এক পর্যায়ে ‘ইউক্রেনের কৌশলগত ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করেন। পরে অবশ্য অন্য মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তিনি রাশিয়া বলতে গিয়ে ইউক্রেন বলে ফেলেছেন।