পশ্চিমা বিরোধী গানে রাইসিকে স্বাগত জানালো জিম্বাবুয়ে

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ১৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার আফ্রিকান দেশ জিম্বাবুয়ে সফরে যান। এ সময় তাকে পশ্চিমা বিরোধী গান গেয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে। ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হ্রাস করা এবং নতুন বাণিজ্যিক জোট খুঁজে বের করার লক্ষ্যে তিনি আফ্রিকার ৩টি দেশ সফরে যান। খবর এবিসি নিউজ।

জিম্বাবুয়েতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

বৃহস্পতিবার হারারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাইসিকে অভ্যর্থনা জানান জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়া। এ সময় বিমানবন্দরে কয়েক ডজন মানুষকে জিম্বাবুয়ে ও ইরানের পতাকা হাতে এবং রাইসির ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা পশ্চিমাদের সমালোচনা করে গান গেয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ইরান এবং জিম্বাবুয়ে উভয় দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জিম্বাবুয়ের আগে ইরানি প্রেসিডেন্ট কেনিয়া এবং উগান্ডা গিয়েছিলেন। মূলত এই সফরগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় নতুন মিত্র দেশ খোঁজার ইরানি প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।

ইরান এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর একটি যৌথ স্থায়ী কমিশন রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই দেশের কর্মকর্তারা কৃষি, ওষুধ, টেলিকম, গ্যাস, জ্বালানি এবং শিক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিসহ ১২টি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। ১২ জুলাই, বুধবার কেনিয়া ও উগান্ডার সঙ্গেও ইরান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

রাইসি বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ে এবং সম্ভাবনায় পূর্ণ আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা, আমাদের পারস্পরিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।’

যেসব দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সম্প্রতি সেই দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি সেসব দেশে সফরও করছেন। গত মাসে তিনি লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া এবং কিউবা সফরে গিয়েছিলেন।

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট মানানগাগওয়া বলেছেন, ‘এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যারা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার, তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলছি। এই নিষেধাজ্ঞা দাতারা চাইবেন না, আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু যেহেতু আমরা দুই দেশই ভুক্তভোগী, সেহেতু এটা দেখানো গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি।’

এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

অপরদিকে জিম্বাবুয়ের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) নিষেধাজ্ঞাগুলো ২০ বছরের পুরনো। এগুলো মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ইইউর কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে।