আজ তুরস্ক যাচ্ছেন জেলেনস্কি

ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং কৃষ্ণসাগরের শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ৭ জুলাই, শুক্রবার তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সরাসরি আলোচনার পাশাপাশি আন্তঃপ্রতিনিধি দলের বৈঠকেও যোগ দেবেন এই দুই শীর্ষ নেতা। খবর আলজাজিরা।

জেলেনস্কি ও এরদোয়ান

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দেশ দুটির মধ্যে একটি শস্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে নিরাপদে খাদ্য রপ্তানি করার সুযোগ পায়। প্রথমে এই চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিন থাকলে পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৭ জুলাই। অন্যবারের মতো এবারও ইউক্রেন এই চুক্তির নবায়ন চাইছে।

তবে রাশিয়া বলছে, তারা এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না। কারণ এক বছর পার হলেও তারা এ চুক্তি থেকে কোনো ফায়দা পায়নি। তাই তারা এ চুক্তি নবায়ন করার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে না। এই চুক্তির অধীনে এক বছরে তিন কোটি ২০ লাখ টনের বেশি শস্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।

শস্য নিয়ে যাচ্ছে একটি জাহাজ

এমন পরিস্থিতিতেই জেলেনস্কি তুরস্ক সফর করছেন। এরদোয়ানের সঙ্গে তার বৈঠকে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির মেয়াদ শেষ হওয়া চুক্তির বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেলেনস্কি ও এরদোয়ান উভয়েই রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত শস্যচুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাইছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রয়েছে এরদোয়ানের। শুরু থেকেই যুদ্ধ বন্ধের জন্য মধ্যস্থতা করে আসছেন তিনি। কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তি স্বাক্ষর ও আগের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এ অবস্থায় তার মাধ্যমে আবারও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যায় কি না, সে চেষ্টা করে দেখছেন জেলেনস্কি।

দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে আগামী সপ্তাহে ন্যাটো সম্মেলনের বিষয়েও আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলেনস্কি লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে ১১-১২ জুলাই শীর্ষ সম্মেলনের আগে সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদের জন্য সম্মতি দিতে এরদোয়ানকে অনুরোধ জানাতে পারেন বলে জানা গেছে।