আফগানিস্তানে সব বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ

আফগানিস্তানে একমাসের মধ্যে সব বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার দেওয়া এক মৌখিক আদেশের কথা জানিয়ে দেশটির নীতি-নৈতিকতা ও পাপ-পুণ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। খবর তোলোনিউজ।

আগে বিউটি পার্লারের ছবিগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছিল

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দেশটির নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাদিক আকিফ এক নোটিশে বিউটি পার্লার বন্ধের জন্য একমাসের সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি জানান, এরইমধ্যে কাবুল পৌরসভাকে নারীদের বিউটি পার্লারগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে বলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো আফগানিস্তানে এ আদেশ কার্যকর করা হবে।

সাদিক আকিফ জানান, প্রশাসনের এই নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে আফগানিস্তানে যেসব বিউটি পার্লারের কার্যক্রম চলছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের ঘটনার পর দেশটির সামরিক অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল তালেবান। এরপর প্রায় দুই দশক যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার আফগানিস্তান পরিচালনা করে। এ সময়ে কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিউটি পার্লারের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছিল।

২০২১ সালে আগস্টে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনাদের প্রত্যাহারের পর ফের দেশটির ক্ষমতায় আসে তালেবান। ক্ষমতার এ পরিবর্তনের পরও অনেকগুলো বিউটিপার্লার খোলা ছিল। তবে সরকারি নির্দেশে এসব পার্লারের সাইনবোর্ড ও জানালাগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেগুলো পুরোপুরিভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।

দুই বছর আগে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে তালেবান বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ আফগান প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। তারা দাবি করছে, নারীদের ওপর আরোপ করা এসব বিধিনিষেধ তালেবান প্রশাসনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সম্ভাব্য অগ্রগতি ব্যাহত করছে। তবে তালেবান কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা শরিয়তের বিধিসীমার মধ্যে থেকেই নারীদের জন্য সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করার পক্ষে। তারা ইসলামিক আইন ও আফগান প্রথা অনুসারেই নারীর অধিকারকে সম্মান করে।