বিস্ময় বালককে নিয়ে রিয়াল-বার্সার টানাটানি

গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গিয়েছিলেন বার্সেলোনা ক্রীড়া পরিচালক ডেকো। ১৮ বছর বয়সী বিস্ময় বালক আর্দা গুলেরকে ন্যু ক্যাম্পে উড়িয়ে আনতেই তার তুরস্ক ভ্রমণ। সেখানে ফেনারব্যাচের সঙ্গে সমঝোতা ও গুলেরের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। কথাবার্তায় নাকি অনেক দূর এগিয়েছিলেন ডেকো।

তুর্কি বিস্ময় বালক আর্দা গুলেরের জন্য লড়ছে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে হয়তো ন্যু ক্যাম্পে পা রাখবেন গুলের। কিন্তু বার্সেলোনার ‘বাড়া ভাতে ছাই’ দিতে হাজির হয়ে গেল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। তুর্কি সেনসেশনকে এখন দলে টানতে চাইছে মাদ্রিদ জায়ান্টরাও। তুরস্কের ক্লাব ফেনারব্যাচের সঙ্গে ইতোমধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছে তারা। তাতে জমে উঠল লড়াই।

শনিবার রাতে এমন খবরই দিয়েছে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্ডো দিপোর্তিভো। এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে ইস্তাম্বুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের একটি প্রতিনিধি দল। আজ-কালের মধ্যেই বিস্ময় বালককে দেখতে ও ফেনারব্যাচের সঙ্গে কথা বলতে তরুস্কে যাচ্ছেন রিয়ালের দুই কিংবদন্তি এমিলিও বুট্রাগেনো ও রবার্তো কার্লোস।

তুর্কি লিগের গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গালাতাসারাই। ফেনারব্যাচ হয়েছে রানার্সআপ। ক্লাবের এই যাত্রার অন্যতম সারথি ছিলেন গুলের। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১৮ বছর বয়সী তরুণ নজরে আসেন বার্সার। তারওপর চোখ পড়েছে রিয়ালেরও। তুর্কি ফুটবলারকে দলে টানতে অবশ্য খুব বেশি খরচ করতে হবে না স্প্যানিশ জায়ান্টদের।

ফেনারব্যাচের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে গুলেরের। তার রিলিজ ক্লজের পরিমাণ স্রেফ ১৭.৫ মিলিয়ন ইউরো। যা রিয়াল কিংবা বার্সার জন্য বড় কোনো অংক নয়। তাই লড়াইটা যে আর্থিকভাবে হবে না সেটা একপ্রকার অনুমিতই। গুলেরের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে অনেককিছু। শেষ পর্যন্ত তিনি কাদের খুশি করেন সেটিই কার্যত দেখার অপেক্ষা।

গত বছর তুরস্ক জাতীয় দলে অভিষেক হয় গুলেরের। দেশের হয়ে ইউরো বাছাই পর্বের চারটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। নিজের আগমনী বার্তা এসব ম্যাচে দিয়েছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।