ফিরে আসবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা?

পরপর দুই সিরিজে যাদেরকে হোয়াওয়াটওয়াশ করার সুখস্মৃতি আছে, নিয়তি এবার মাশরাফিদের এমন জায়গায় এসেছে যে, এখন সেই্ বিপক্ষই উল্টো হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ভয়ে কাঁপতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় আসছে ভোর চারটায় মাঠে নামবেন মাশরাফিরা। কিউইদের বিপক্ষে এই ম্যাচটি হারলে পেতে হবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। যে লজ্জা বাংলাদেশ সর্বশেষ পেয়েছিলো ২০১৪ সালের আগস্টে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।

২০১৪ সালের আগস্টে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর বাংলাদেশ সিরিজ খেলেছে মোট সাতটি। দেশের মাটিতে খেলা সিরিজগুলোতে বাংলাদেশ জিতেছে ছয়টিতেই। সর্বশেষ সিরিজটিতে হারতে হয়েছে ইংলিশদের বিপক্ষে। সেটাতেও একটি ম্যাচে জয় আছে মাশরাফিদের।

সাত সিরিজের মাঝখানে ছিলো বিশ্বকাপও। সেখানে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালের সিঁড়িতে পড়েছিলো মাশরাফিদের পা। তারপর মেলবোর্নে ভারতের বিপক্ষে মহাবিতর্কিত এক ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় বিশ্বকাপদৌড়। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলেও বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের কাছে এখনো হয়ে আছে অবিশ্বাস্য ভালো পারফর্মের প্রামাণ্যচিত্র।

গত দুইটা বছর বাংলাদেশ ভেসে বেড়িয়েছে সাফল্যের ভেলায়। সেই ভেলা ডুবতে বসেছে নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে সিরিজে। তবে শেষ ম্যাচটা যদি মাশরাফিরা জিততে পারেন, সম্মানটা আপাতত বেঁচে যাবে। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে যোগ হবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। নেলসনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে তাই জয়কেই মাশরাফিরা বানিয়েছেন মূল লক্ষ্য।

এই লক্ষ্য মাশরাফিরা কতোটা পূরণ করতে পারবেন, তা জানতে আপাতত ম্যাচ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে ব্যাটসম্যানদের ভালো পারফর্মেরও। বিশেষ করে তামিম, মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বির রহমানের কাছে ভালো কিছুই চাইছেন সমর্থকরা।

এই ম্যাচের মাধ্যমে এক ম্যাচ পর ফের সিরিজে ফিরছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার দলে ফেরার দিনে বাদ পড়তে পারেন গত ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া শুভাশীস রায়।