মেসির অভিষেক: টিকিটের দাম ১০ হাজার ডলার!

যুক্তরাষ্ট্রের ডিভিআর পিএনকে স্টেডিয়ামে লিগস কাপে আগামী ২১ জুলাই মেক্সিকান দল ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে অভিষেক হতে পারে ইন্টার মায়ামিতে নতুন যুক্ত হওয়া লিওনেল মেসির। এই খবরে যেন আগুন লেগে গেছে ওই ম্যাচের টিকিটের দামে। ৪০ ডলারের ম্যাচ টিকিট পেতে এখন পকেট থেকে খসছে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত। খবর স্পোর্টসম্যানর।

মিয়ামিতে মেসি

ইন্টার মায়ামির সঙ্গে এখনও মেসির চূড়ান্ত চুক্তি না হলেও দলটির সহ-মালিক হোর্হে মাস বলেছেন, মেসি যোগ দিলে ২১ জুলাই তার মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি তো এতটুকু বলেই শেষ করেছেন। এখন যা করার করছে মেসি ভক্ত ও টিকিট বিক্রেতারা।

সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) পূর্বাঞ্চলীয় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে ইন্টার মিয়ামি। টানা ৬ ম্যাচ ধরে হারছে দলটি। তবে মেসি আসার খবরে সেই দলের ম্যাচের টিকিটের দামই আকাশ ছুঁয়েছে।

মেসির জার্সি

২১ জুলাইয়ের যে ম্যাচের টিকিটের দাম ছিল ২৯ ডলার, সেটিই মেসির অভিষেকের ঘোষণায় বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৯ ডলারে। তথ্যটি জানিয়েছিল নিউইয়র্কের টিকিটের অনলাইন বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্ল্যাটফর্ম টিকপিক। তবে পরবর্তী সময়ে অনলাইনে টিকিট পুনরায় কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম ‘ভিভিড সিটস’ জানিয়েছে, ওই ম্যাচের টিকিট এখন এক হাজার ১০০ ডলারের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না! বাংলাদেশি মুদ্রায় এই টিকিটের দাম পড়ছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। আর যারা একটু ভালোভাবে মেসিকে দেখতে চাচ্ছেন তাদের খরচটা হবে অনেক বেশি। প্রিমিয়াম আসনগুলোর টিকিটের দাম এরইমধ্যে ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশি টাকার হিসেবে এই টিকিটের দাম পড়বে প্রায় ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লারিন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মিয়ামির সঙ্গে মেসির কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি। চলতি জুনে শেষ হচ্ছে তার পিএসজিতে থাকার মেয়াদ। তারপর আগামী ৫ জুলাই মায়ামির সঙ্গে তার চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, মেসি এমএলএস দল ইন্টার মিয়ামির সাথে দুই বছরের চুক্তি করবেন।

যে স্টেডিয়ামে মিয়ামির হয়ে মেসির অভিষেক হবে সেই ডিভিআর পিএনকে স্টেডিয়ামের অবস্থান মিয়ামি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ফোর্ট লডারহিলে। নিজেদের স্টেডিয়ামে ওঠার আগ পর্যন্ত মিয়ামি এই স্টেডিয়ামেই খেলছে। ১৯ হাজার আসনের এই স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা ২২ হাজারে উন্নীত করতে চায় মিয়ামি। মেসির আসার আগে এখনও তাদের হাতে চার সপ্তাহ সময় রয়েছে। এরমধ্যেই তারা তিন হাজার আসন বাড়ানোর কাজটি সেরে ফেলতে চায়।

জানা গেছে, মেসি আসার আগ পর্যন্ত ইন্টার মিয়ামির ম্যাচে গড়ে ১২ হাজার দর্শক উপস্থিত হতো। তবে তাদের হোম গ্রাউন্ড ফোর্ট লডারডেলের ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার দর্শকের। ফলে এটি নিয়ে কখনো মাথাব্যথা ছিল না কখনোই ১২ নম্বরের ওপরে উঠতে না পারা মিয়ামির ম্যানেজমেন্টের। তবে মেসি আসার খবরে মিয়ামির ভক্ত-সমর্থকের সংখ্যায় যেন সুনামির ঢেউ লেগেছে। টিকিটের দামে তার নিদর্শন দেখা যাচ্ছে।