পশ্চিম তীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪ ইসরায়েলি নিহত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে একটি অবৈধ বসতির পাশের এলাকায় দুই বন্দুকধারীর গুলিতে চার ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবারের এই হামলায় আরও চারজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মেগান ডেভিড আদম ইমার্জেন্সি সার্ভিস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরা।

পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে

খবরে বলা হয়, রামাল্লাহ ও নাবলুসের মধ্যবর্তী এলাকায় এলি নামের ইসরায়েলিদের একটি অবৈধ বসতির প্রবেশপথের কাছে একটি গ্যাস স্টেশনে সন্দেহভাজনরা গুলি করে। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলের চ্যানেল১২ এক খবরে দাবি করেছে, দুই বন্দুকধারীর একজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা সন্দেহভাজন আরেকজনকে খুঁজছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর একটি গ্যাস স্টেশনে প্রকাশ্যে গুলি চালায়। তখন ইসরায়েলি বেসামরিক অস্ত্রধারীরা তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একজন হামলাকারী নিহত হয়। ওই ঘটনার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পুরো এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। এতে তারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। ফিলিস্তিনিদের চলার পথে তারা চেকপোস্ট বসিয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় সোমবার ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়

এদিকে এ ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জরুরি নিরাপত্তা আলোচনার ডাক দিয়েছেন। তার ডানপন্থী মিত্ররা পশ্চিম তীরে বড় আকারের অভিযানের দাবি জানিয়েছে।

গত সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের নয় ঘণ্টাব্যাপী ওই অভিযানে নিহত হয় ছয় ফিলিস্তিনি। এছাড়া আহত হন আরও ৯১ জন। ওই হামলার পরদিনই বন্দুকধারীদের গুলিতে চার ইসরায়েলির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

হামাস জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলায় তাদের সশস্ত্র শাখার সদস্যরা অংশ নিয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শাসকদল হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম মঙ্গলবারের ঘটনাকে জেনিনসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এই মহান ইন্তিফাদা অব্যাহত থাকবে এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তা থামবে না।