সেনাপ্রধান বরখাস্ত, নতুন সেনাপ্রধান মুহিউদ্দিন আদ্দো

দেশব্যাপী চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করেছে সোমালিয়া। তার স্থলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম শেখ মুহিউদ্দিন আদ্দোকে সোমালি ন্যাশনাল আর্মির নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশটির মন্ত্রিসভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আনাদোলু।

মুহিউদ্দিন আদ্দো এবং ওদাওয়া ইউসুফ রাগেহ

খবরে বলা হয়, দেশটির কেন্দ্রীয় হিরান অঞ্চলে কিছুদিন ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আল শাবাব। ঘটনার জেরে কয়েকদিন আগে হিরান আঞ্চলিক প্রশাসনের গভর্নর আলী জেতে ওসমানকে বরখাস্ত করা হয়। তবে ওসমান তার বরখাস্ত প্রত্যাখ্যান করেন এবং গত রোববার হিরান অঞ্চলের রাজধানী বেলেদওয়েনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, এখন থেকে তিনি আর রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবেন না। এ সময় তিনি হিরানে একটি নতুন ফেডারেল সদস্য রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেন। এর পরদিনই সেনাপ্রধানকে বহিষ্কার করে সোমালিয়ার মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানী মোগাদিশুতে প্রধানমন্ত্রী হামজা আবদি বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেনাপ্রধান মেজর-জেনারেল ওদাওয়া ইউসুফ রাগেহকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম শেখ মুহিউদ্দিন আদ্দোকে সোমালি ন্যাশনাল আর্মির নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ সোমালি ন্যাশনাল আর্মির কমান্ডার নিয়োগের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে এবং ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল ইব্রাহিম শেখ মুহিউদ্দিন আদ্দোকে নিয়োগ দিয়েছে। ইতালিতে সামরিক বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করা আদ্দো এর আগে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের ৬০তম ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সোমালিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহাম্মদ ফার্মাজো ২০১৯ সালে ওদাওয়া ইউসুফ রাগেহকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। গত বছরের আগস্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর হাসান শেখ মোহামুদের প্রশাসন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাতে শুরু করে। এ অভিযানের মাধ্যমে তারা দেশের বিস্তীর্ণ অংশে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

এদিকে এসব অভিযানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ার পরও আল-শাবাব রাজধানী শহর মোগাদিশুতে তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে। এ মাসের শুরুতে রাজধানী মোগাদিশু থেকে ১৩০ কিলোমিটার (৮০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বুলামারেরে আফ্রিকান ইউনিয়ন শান্তিরক্ষীদের একটি ঘাঁটিতে আল-শাবাবের হামলায় ৫৪ উগান্ডার সৈন্য নিহত হয়।