আহত সাবেক বন্দীসহ ৭ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার রাতে এবং রোববার ভোরে একজন আহত সাবেক বন্দীসহ মোট সাত জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। লন্ডনভিত্তিক আল আরাবি আল জাদিদ নিউজ ওয়েবসাইটে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

ফাইল ছবি

আল আরাবি আল জাদিদ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন প্রদেশের ইয়াবাদ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ফিলিস্তিনি তরুণদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলি সৈন্যরা। 

প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স ক্লাবের কর্মকর্তা মুনতাসির সামুর জানিয়েছেন, ইয়াবাদ শহরে সাবেক বন্দী ঘানেম বাসাম হামারশেহ এবং অন্য দুই ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

শনিবার সন্ধ্যায় নাবলুসের দক্ষিণে একটি সামরিক চেকপয়েন্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় জেনিন শরণার্থী শিবিরের আব্দুল্লাহ আল জেরবোয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

রোববার ইসরায়েলিরা বেথলেহেমের নিকটবর্তী হুসান গ্রাম থেকে ১৬ বছর বয়সী এক বালক এবং আরেকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ইসাওয়াইয়া পাড়া থেকেও অন্য একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় কালকিলিয়া প্রদেশের কাফর কাদ্দুম গ্রামে ফিলিস্তিনি তরুণ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইহুদি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের এলাকায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালানোর কারণে ফিলিস্তিনিরা রুখে দাঁড়ায়। ফলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।  

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা রোববার ইসরায়েলিদের কাছ থেকে আহমেদ ইয়াকুব তাহা নামের ৩৯ বছর বয়সী একজন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত পেয়েছে। তিনি এপ্রিল মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিলেন। ইসরায়েল এতদিন ধরে তার লাশ আটকে রেখেছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের হাতে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  

সূত্র: দ্য নিউ আরব