ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বললো ওয়ার্কার্স পার্টি

সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণ এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিএনপি, জাতীয় পার্টি, এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে ইতোমধ্যেই আলোচনা শেষ করেছেন রাষ্ট্রপতি। ধারবাহিক আলোচনার অংশ হিসাবে ২৭ নভেম্বর আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটি গঠন এবং কমিশনে দুজন নারীর অন্তর্ভুক্তি। মঙ্গলবার বিকালে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় দলটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে রাশেদ খান মেনন ছাড়াও দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিট ব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, সংসদ সদস্য হাজেরা সুলতানাসহ আরো কয়েকজন।

জানা গেছে, ওয়ার্কার্স পার্টির এ সংলাপ চলে ঘণ্টাব্যাপী। আলোচনা শেষে শেষে বঙ্গভবনের গেটে তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতি এবং আমরা আশাবাদী আজকের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বেরিয়ে আসতে পারে। আমরা চাই রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ সফল এবং সার্থক হোক।' নির্বাচন কমিশনে একজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সবগুলো রাজনৈতিক দল একমত হয়েছেন।'

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবগুলোতে আছে, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডেকে অথবা অধ্যাদেশ জারি করে আইন প্রণয়ন করতে পারেন। এসব করতে সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ এক মাস।

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির নিকট প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া যেতে পারে এমন নাম প্রস্তাব করবে।

এছাড়াও প্রধান বিচারপতি, দুদক চেয়ারম্যান, মহা-হিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে সঙ্গে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করে। ওয়ার্কার্স পার্টি প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন হবে দুই সদস্যবিশিষ্ট। এতে অন্তত দুইজন নারী সদস্য রাখার কথা বলেছে তারা।