মেসি: তুমিও খুব ভালো মানুষ, ভালবাসি তোমাকে

লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার, নেইমার জুনিয়র ব্রাজিলের। বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলারের মধ্যে যতটা দূরত্ব থাকার কথা ছিল, তাদের মধ্যে নৈকট্যতাই তার চেয়ে অনেক বেশি। সেই বার্সেলোনা থেকে তাদের বন্ধুত্ব। দীর্ঘ বিরতির পর আবার পিএসজিতে এক হন তারা। এবার আরও একদফা আলাদা হচ্ছেন দুইজন। যদিও তাদের বন্ধুত্ব শেষ হচ্ছে না। পিএসজি থেকে মেসির চলে যাওয়ার মুহূর্তে আবেগ বার্তা দেন নেইমার। ফিরতি বার্তায় ব্রাজিলিয়ান তারকার প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

মেসি ও নেইমার

পিএসজির হয়ে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মেসি। আগামী মৌসুমে তাকে দেখা যাবে অন্য কোনো ক্লাবে। অবশ্য কোন ক্লাবে যাচ্ছেন, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। পিএসজিতে মেসির শেষ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি নেইমার। ইনজুরির কারণে গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন বন্ধুর শেষ ম্যাচটি।

বার্সা ছাড়ার পর বলতে গেলে নেইমারের টানেই পিএসজিতে এসেছিলেন মেসি। সে সময় মনে হয়েছিল, তারা আবারও বার্সার সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো ফিরিয়ে আনবেন ফ্রান্সের মাটিতে। কিন্তু তা হয়নি। কখনও নেইমারের ইনজুরি, কখনও মেসির ছন্দপতন- সবমিলিয়ে বার্সার সেই রূপ খুব কম সময়েই দেখাতে পেরেছেন এই জুটি। এছাড়া পিএসজির সমর্থকরাও বার্সার মতো মেসি-অন্তঃপ্রাণ নয়। ফলে মাঝে মধ্যেই দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে মেসিকে।

ইনস্টাগ্রামে নেইমারের পোস্ট করা ছবি

অবশ্য মেসির পিএসজি অধ্যায় এভাবে শেষ হওয়াটাকে মেনে নিতে পারেননি বন্ধু নেইমার। ইনস্টাগ্রামে মেসির সঙ্গে নিজের দুটি ছবি পোস্ট করে নেইমার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভাই, যেমন ভেবেছিলাম, শেষটা সেভাবে হলো না। আমরা সব চেষ্টাই করেছিলাম, নিজেদের সেরাটাই দিয়েছিলাম। তোমার সঙ্গে আরও দুটি বছর কাটাতে পেরে ভাল লাগছে। আগামীর জন্য শুভকামনা। আনন্দে থেকো। তোমাকে ভালবাসি।’

নেইমারের এই শুভকামনা জবাব দিয়েছেন মেসি। তারকা ফরওয়ার্ড লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ নেইমার। সব কিছুর পরও আমরা যে ভাল সময় কাটাতে পেরেছি সেটাই বড় কথা, আমরা একসঙ্গে খেলাটা উপভোগ করেছি, সময়গুলো ভাগাভাগি করেছি। তোমার জন্য অনেক শুভকামনা। মাথাটা একটু খারাপ হলেও তুমি খুব ভালো মানুষ। দিন শেষে এটাই সবচেয়ে বড় কথা। তোমাকে খুব ভালবাসি।’

পিএসজি ছাড়ার পরে মেসি এখন কোন ক্লাবে যাবেন সেটা নিয়ে ফুটবল প্রেমীদের কৌতুহলের শেষ নেই। তার সামনে বার্ষিক পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেতনের প্রস্তাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সৌদি ক্লাব আল হিলাল। এছাড়া পুরোনো ঠিকানা, নাড়ির বন্ধন বার্সেলোনায় যাওয়ার সুযোগও আছে মেসির সামনে। তাকে পেতে চায় আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মিয়ামিও। ত্রিমুখী লড়াইয়ের মাঝে মেসি কোন দিকে পা বাড়ান সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।