ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতিকে ইনুর সাত প্রস্তাব

সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণ এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিএনপি, জাতীয় পার্টি, এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে ইতোমধ্যে ইতিবাচক আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি। আলোচনার ধারাবাহিক অংশ হিসাবে আজ সোমবার রাষ্ট্রপতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ সময় জাসদের সভাপতি তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু রাষ্ট্রপতিকে সাতটি প্রস্তাব দেন।

জানা গেছে, সংবিধানের চার মূলনীতিতে আস্থা আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নসহ মোট সাতটি প্রস্তাব দিয়েছে জাসদ। তথ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। ২৬ নভেম্বর সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গভবনে আয়োজিত বৈঠকে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাসদের কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এম এ করিম, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন খান, হাবিবুর রহমান শওকত, জিকরুল আহমেদসহ দুইজন যুগ্ম সম্পাদক।

ইনুর দেয়া বাকি প্রস্তাবগুলো হলো, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের আগে প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, বাংলাদেশের সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নিয়ে বাছাই কমিটি গঠন করতে হবে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ৬ মাস হওয়ার আগে আইন অনুযায়ী কমিশন গঠনের কাজ শুরু করতে হবে।

এছাড়া রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের প্রস্তাব বাছাই কমিটি বাছাই করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের বিপরীতে তিনজন করে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন; বাছাই কমিটির পাঠানো এক বাই তিন ভিত্তিতে বাছাই করা ১৫ জনের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির নিকট পাঠানোর পূর্বে ওই তালিকা জনগণের সামনে উন্মুক্ত করতে হবে। প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ন্যূনতম একজন নারী নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশনার বাছাই করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বৈঠকের বিষয়ে বলেন, '২০১১ সালেও তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নিকট জাসদ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নীতিমালা অনুযায়ি নির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের কথা বলেছিল। তখন সেটি সম্ভব হয়নি।' জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ জাসদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনাসহ সামগ্রিক মতামত দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস দেন।