রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা দেবে জাপান

জাপানে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জি-৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন। এরপর জাপান রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপে গ্রুপটির নেতাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। দেশটি ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের জবাবে এ পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে। দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা

মাতসুনোও বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার জন্য রাশিয়ার পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছেন, এটি ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে। যুদ্ধকালীন সময়ে পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার একমাত্র দেশ হিসেবে জাপান কখনই রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে মেনে নেবে না।

জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জি-৭ এর সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপে জাপান রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৮টি গ্রুপ ও ১৭ ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করবে। তাছাড়া ৮০টি রাশিয়ান সংস্থায় (সামরিক অধিভুক্ত গবেষণা ল্যাব) রপ্তানি নিষিদ্ধ করবে।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়াকে নির্মাণ ও প্রকৌশল পরিষেবা প্রদান নিষিদ্ধ করবে টোকিও। নিষেধাজ্ঞার বিশদ বিবরণ পরে ঘোষণা করা হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ কয়েক দশক ধরে চলতে পারে : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন শীর্ষ মিত্র বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ কয়েক দশক ধরে চলতে পারে। দীর্ঘ সময়ের এই লড়াই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হতে পারে। রাশিয়ার আরআইএ বার্তা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, পুতিনের শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ভিয়েতনাম সফরের সময় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই বিরোধ খুব দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, তা সম্ভবত কয়েক দশক হবে।

ইউক্রেন একটি নাৎসি রাষ্ট্র উল্লেখ করে মেদভেদেভ বলেন, যতদিন ইউক্রেনে বিতর্কিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সংঘাত চলবে। এর আগে জানুয়ারিতে মেদভেদেভ বলেছিলেন, রাশিয়া পরাজিত হলে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।