পারমাণবিক গোলা বহনে সক্ষম ইরানের নতুন মিসাইল

নতুন একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উন্মোচন করেছে ইরান। খোররমশহর সিরিজের চতুর্থ প্রজন্মের এ মিসাইলের নাম দেওয়া হয়েছে খাইবার। নতুন এ মিসাইল সাড়ে তিন হাজার কেজি ওজনের গোলা নিয়ে ২ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম বলে ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল উন্মোচন করেছে ইরান

ইরানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, খাইবার মিসাইল পারমাণবিক গোলা বহন করতে পারবে। বৃহস্পতিবার এ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় মিসাইলটি চার মিটার (১৩ দশমিক ১২ ফুট) দীর্ঘ ও দেড় হাজার কেজি ওজনবিশিষ্ট গোলা নিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। খাইবার মিসাইল সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার কেজি গোলা বহনে সক্ষম।

নতুন মিসাইল উন্মোচন উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মাদ রেজা আস্তিয়ানি বলেছেন, আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল, ড্রোন ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতেও আমাদের অগ্রসর অস্ত্রগুলোর এমন প্রকাশ্য প্রদর্শনী অব্যাহত থাকবে। স্টিলথ প্রযুক্তিতে নির্মিত খাইবার মিসাইলে ইরানের সবচেয়ে অগ্রসর লিকুইড ফুয়েল ইঞ্জিন এবং বিশেষ নেভিগেশন সেট সংযোজন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কর্মকর্তারা জানান, খাইবার একটি অগ্রসর ইঞ্জিনসম্পন্ন মিসাইল এবং চূড়ান্ত পর্বে এর কোনো গাইডেন্স বা দিক-নির্দেশক প্রয়োজন হয় না। ইন-ফ্লাইট টার্গেটিং সিস্টেম সংযোজিত থাকায় এ ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের পর প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েক দফা গতিপথ পরিবর্তন করতে এবং নিজেকে টার্গেটের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারে। র‌্যাডার ফাঁকি দেওয়ার প্রযুক্তির সুবাদে মিসাইলটি শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে পারে।

ইরানের একটি সামরিক ব্লগে বলা হয়েছে, ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে মদিনা থেকে দেড়শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত মরুদ্যান খাইবারে মহানবীর (স.) নেতৃত্বে মুসলিমরা স্থানীয় ইহুদীদের পরাস্ত করেন। ইসলামের ইতিহাসের একেবারে প্রথমদিকের ওই বিজয়ের কথা স্মরণ রেখে নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইলের খাইবার নামকরণ করা হয়েছে।

এদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ইরানের নতুন মিসাইল উন্মোচনের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অব্যাহত উর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড আরও বেশি উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।