চলতি বছরেই রাষ্ট্রদূত বিনিময় করবে মিশর-ইরান

এই বছরের মধ্যেই মিশর এবং ইরানের মধ্যে রাষ্ট্রদূত বিনিময় হবে বলে জানিয়েছেন মিশরীয় কর্মকর্তারা। এই পদক্ষেপ ওমানের মধ্যস্থতায় দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এর ফলে চার দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।

চলতি বছরেই রাষ্ট্রদূত বিনিময় করবে মিশর-ইরান

মিশরের দুই কর্মকর্তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল নিউজকে জানান, মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি তার ইরানি প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। এই বছরের শেষ নাগাদ বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা।

ওমানের শাসক সুলতান হাইথাম বিন তারিক দুই দিনের মিশর সফরের কয়েকদিন পর এই খবর আসে। এই সফরে সুলতান হাইথাম এবং সিসি তেহরানের সঙ্গে কায়রোর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

ইরানের সঙ্গে আরব রাষ্ট্র ওমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা কিংবা আরব রাষ্ট্রগুলোর সংঘাতের সময় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে থাকে ওমান।

এদিকে ইরান জানিয়েছে, তারা সবচেয়ে জনবহুল আরব দেশ মিশরের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক চায়। মিশরীয় সরকার অবশ্য ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এতদিন নীরব ছিল। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আঞ্চলিক বিভিন্ন মিডিয়া দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলার বিষয়ে নানা খবর প্রকাশ করছে।

ইরান ও মিশরের মধ্য স্তরের কূটনীতিক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মার্চ মাস থেকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করছেন। এই মাসের শুরুতে বাগদাদে এই আলোচনার শেষ দফা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের ফলে ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকে সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র মিশরের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।

প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের শাসনামলে শাহ মিশরে আশ্রয় নেন। এর ফলে মিশরের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শাহ ১৯৮০ সালে মিশরে মারা যান এবং তাকে সেখানে সমাহিত করা হয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। তেহরানে শুধুমাত্র একজন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স এতদিন ধরে মিশরীয় মিশন চালাচ্ছেন।