পাকিস্তান: পিটিআই ছাড়লে মুক্তি, নইলে ফের গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন এক পরিস্থিতির দেখা মিলছে। দলে দলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দল ছাড়ার ঘোষণা দিলে তারা মুক্তি পাচ্ছেন। নইলে বন্দী থাকতে হচ্ছে। কেউ মুক্তি পেলেও ফের গ্রেপ্তার হচ্ছেন। খবর জিও নিউজ।

মুক্তি পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ফের গ্রেপ্তার হন মাহমুদ কুরেশি

গতকাল মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পান পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এখনো পিটিআইয়ে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পিটিআইয়ের আরেক নেত্রী মুসারাত জামশেদ চিমাও মুক্তি পাওয়ার পরপরই ফের গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান কুরেশিকে মুক্তি দিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ১৮ মে আদেশ জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত জনশৃঙ্খলা আইনে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের গ্রেপ্তার হন তিনি।

মুক্তি পেয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন শিরিন মাজারি

এদিকে কুরেশি দলের সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিলেও একই দিনে পিটিআই থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন দলটির অন্যতম প্রভাবশালী নেত্রী শিরিন মাজারি। দলের এই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বলেন, এখন থেকে তিনি পিটিআই কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখবেন না। ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত এক বছরে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পিটিআইয়ের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা।

তবে শুধু শিরিন মাজারিই নয়, এর আগে আরও কয়েকজন পিটিআই ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ গত ৯ মে’র সহিংসতার জন্য ইমরান খানকে দায়ী করেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন দলটির নেতা ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য মিঞা জলিল, জাতীয় পরিষদের সদস্য আফতাব হোসাইন সিদ্দিকী, পিটিআই পশ্চিম পাঞ্জাবের সভাপতি ফয়জুল্লাহ কামোকা, নির্বাচিত পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য আবদুল রাজ্জাক খান নিয়াজীসহ বেশকিছু নেতা।

সবমিলিয়ে পদত্যাগের হিড়িক লেগেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফে (পিটিআই)। ধারণা করা হচ্ছে, গত এক বছরে ইমরান খানকে কাবু করতে না পেরে সর্বশেষ এই পথ পরীক্ষা করে দেখছে শাহবাজ শরিফের সরকার।