বিশ্ব ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ: প্রতিপক্ষ ইসরায়েল হওয়ায় নাম প্রত্যাহার

ইস্তাম্বুলে ওয়ার্ল্ড ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের একটি প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে ইরাকি জাতীয় ফেন্সিং দল। প্যারিস অলিম্পিকের জন্য এ বাছাই পর্বটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রতিযোগিতার ড্রয়ের পর ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তারা নাম প্রত্যাহার করে নেয়। খবর মিডলইস্ট মনিটর।

ইরাকের জাতীয় ফেন্সিং দল

ইরাকি ফেন্সিং ফেডারেশন সামাজিকযোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইস্তাম্বুলের বিশ্ব ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই টুর্নামেন্টের স্বতন্ত্র প্রতিযোগিতায় লটারিতে ইসরায়েলের বিপক্ষে ইরাকের খেলা নির্ধারিত হয়। কিন্তু ইরাকের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা এ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণকে ইরাকি আইনে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইসরায়েলের দখলদারি সত্ত্বাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে আইনটি পাস হয়েছিল। সেই আইনের সঙ্গে সম্মতি জানিয়ে প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফেন্সিং প্রতিযোগিতা

তবে বিবৃতিতে ফেডারেশন জানায়, ইরাক ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা থেকে প্রত্যাহার করলেও দলীয় ম্যাচে অংশ নেবে।

২০২২ সালের মে মাসে ইরাকি পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করে একটি আইনের পক্ষে ভোট দেয়। এ আইনের ব্যত্যয় ঘটলে মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি আরব বিশ্বে এ ধরনের প্রথম পদক্ষেপ।

কয়েক বছর ধরে আরব বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর সুফলও তারা পেয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইরাক নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান সব সময়ের জন্য ধরে রাখতে বিষয়টিকে আইনে পরিণত করে।