রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক ব্লক ছাড়তে পারে আর্মেনিয়া

মস্কোর নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা (সিএসটিও) থেকে আর্মেনিয়াকে প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আর্মেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। মিত্র রাশিয়ার কাছ থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ায় বিভিন্ন সময়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আর্মেনিয়া। সর্বশেষ রুশ নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ছাড়ার হুমকি দিল দেশটি। খবর এএফপি।

আর্মেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান

২২ মে, সোমবার রাজধানী ইয়েরেভানে একটি সংবাদ সম্মেলনে পাশিনিয়ান বলেছেন, ‘যদি ব্লক তার চুক্তির বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করতে ব্যর্থ হয়, আমি তাহলে সিএসটিও থেকে আর্মেনিয়াকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তও নিতে পারি।’

আগামী ২৫ মে, বৃহস্পতিবার মস্কোতে রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকের আগেই পাশিনিয়ান এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। প্রতিবেশি আজারবাইজানের সামরিক হুমকির মুখে আর্মেনিয়াকে রক্ষা করতে রাশিয়ার ব্যর্থতা ইয়েরেভানকে ক্রমেই হতাশাগ্রস্ত করেছে।

আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে আঞ্চলিক সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। ককেশাস এই দুটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় একটি শান্তি চুক্তির জন্য আলোচনার চেষ্টা করছে।

পাশিনিয়ান বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি, কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করছে না।’

নাগোর্নো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণের জন্য আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান ২০২০ সালে এবং ১৯৯০ এর দশকে দুটি যুদ্ধ করেছে। এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।

২০২০ সালে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে সংঘটিত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধটি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষ হয়েছিল। এই যুদ্ধে আজারবাইজান জয়লাভ করে। ফলে কয়েক দশক ধরে আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশ আজারবাইজানের কাছে ছেড়ে দিতে হয়েছে।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল আর্মেনিয়া। দেশটি কারাবাখের শান্তিরক্ষার ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করেছে।