ভারত সফরে ‘খুশি’ বিলাওয়াল

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। ২০১৬ সালের পর ভারতে কোনো সিনিয়র পাকিস্তানি কর্মকর্তার এটাই প্রথম সরকারি সফর। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে বিলাওয়াল ভারতের উপকূলীয় রাজ্য গোয়ায় অবস্থান করছেন। চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

২০১৬ সালের পর ভারতে কোনো সিনিয়র পাকিস্তানি কর্মকর্তার এটাই প্রথম সরকারি সফর

বিলাওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ভারত সফরে আসতে পেরে তিনি খুবই খুশি। এসসিও বৈঠক সফল হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গোয়ায় পৌঁছানোর আগে তিনি এক টুইটে বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার অপেক্ষায় আছেন তিনি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসসিও বৈঠকে অংশগ্রহণ এসসিও চার্টার এবং প্রক্রিয়াগুলোর প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির প্রতি গুরুত্বারোপ করে। তাছাড়া পাকিস্তান বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারে এই অঞ্চলকে যে গুরুত্ব দেয়, তা প্রতিফলিত করে।

এদিকে বিলাওয়ালের ভারত সফরের সমালোচনা করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির বক্তব্য, এই সফরটি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করার জন্য। তবে পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশি এই সফরকে সমর্থন করেছেন।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান তিনটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানত কাশ্মিরের বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ দুটির মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

১৯৮৯ সালে নয়াদিল্লির শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হলে ভারত শাসিত কাশ্মির অঞ্চলে এ পর্যন্ত ৫ লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে কাশ্মিরের স্বাতন্ত্র মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে পাকিস্তান।

এরপর থেকে উভয় দেশ তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে এবং বেশকিছু কনস্যুলার কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। পরে কিছু উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটে।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও এর বর্তমান সভাপতি ভারত। সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো হলো- ভারত, তাজিকিস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও  উজবেকিস্তান।