রুয়ান্ডায় বন্যা-ভূমিধস: ১২৯ জনের প্রাণহানি

পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় বন্যা ও ভূমিধসের জেরে কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের দরুণ বন্যা ও ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। সেবেয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরা।

বন্যায় ডুবে যাওয়া একটি বাড়ি

টুইটারে রাষ্ট্র পরিচালিত রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সির পোস্ট করা এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্লাবিত রাস্তায় কাদা-মিশ্রিত পানি দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছে। সেগুলোতে আশপাশে থাকা বাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রুয়ান্ডার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মারি সোলাঞ্জ কায়িসির সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম ও উত্তর রুয়ান্ডার বেশকিছু অংশে বৃষ্টি হয়েছে। এই দুই অঞ্চলে ১২৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বেশকিছু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে।

রুয়ান্ডায় বন্যা

রুয়ান্ডার ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে সেবায়া নদীর তীর ছাপিয়ে পানি আশপাশের অঞ্চলে ঢুকে পড়ে।

তিনি বলেন, এর আগেও কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছিল। তাতে মাটি ভিজে নরম ছিল। মঙ্গলবার আবারও বৃষ্টি হলে সহজেই ভূমিধস হয় এবং অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এই বন্যা ও ভূমিধসে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের রুটসিরো, নিয়াবিহু, রুবাভু ও এনগোরোরেরোতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরে গোরোরেরো, কারোঙ্গিসহ আরো কিছু জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো গণমাধ্যমকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোতে পৌঁছানোই এখন আমাদের প্রধান কাজ। আমরা এসব বাড়িঘরে আটকে পড়া লোকজনকে নিরাপদে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। তিনি জানান, বন্যা ও ভূমিধসের পর বেশকিছু লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা তিনি উল্লেখ করেননি।

ভারী বৃষ্টি ও বন্যার জেরে উগান্ডার পশ্চিম কিসোরো জেলাতেও এক পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে উগান্ডা রেড ক্রস।