ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার অভিযোগ

ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইউক্রেন ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। বিষয়টিকে সন্ত্রাসী হামলা অভিহিত করে রাশিয়া বলেছে, তারা নিজেদের পছন্দমতো জায়গা ও স্থানে পাল্টা হামলার অধিকার রাখে। খবর বিবিসি।

ড্রোন হামলার বিষয়ে রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওর স্থিরচিত্র

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে ক্রেমলিনে দুটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। রাশিয়ার স্পেশাল সার্ভিসেস সদস্যরা ইলেকট্রনিক র‌্যাডারের সাহায্যে ড্রোন দুটি অকার্যকর করেছে। হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রেমলিনে ছিলেন না। ড্রোন হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বিবিসিকে বলেছে, তারা এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করবে না।

রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর শেয়ারকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভোরের আবছা আলোয় মস্কোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্রেমলিন ভবনের ছাদে অবস্থিত ফ্ল্যাগপোলের দিকে খুব দ্রুত কিছু ছুটে আসছে। এর পরপর ফ্ল্যাগপোলের নিচে থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে কিয়েভ প্রশাসন রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের ক্রেমলিনস্থ বাসভবনে মনুষ্যবিহীন উড়োযানের সাহায্যে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে। রুশ সরকার বিষয়টিকে সন্ত্রাসী হামলা ও প্রেসিডেন্টের প্রাণনাশের চেষ্টা হিসেবে দেখছে। রাশিয়া এ বিষয়ে যেখানে যেভাবে ইচ্ছা পাল্টা পদক্ষেপের অধিকার রাখে।

এতে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তার দৈনন্দিন রুটিনেও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ ক্রেমলিনে পতিত হয়েছে তবে তাতে কেউ হতাহত হয়নি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেন, আগামী ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেড উপলক্ষে বিদেশী অতিথিদের আগমনের প্রাক্কালে এ হামলা চালানো হলো। যদিও বিদেশী দিবসের প্যারেড যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে মস্কোতে ৭৫ কোজি বিস্ফোরকবোঝাই একটি ড্রোন পতিত হয় বলে রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। রুদেনভো শিল্প এলাকায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সফর সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই ড্রোন পাঠানো হয় বলে জার্মান দৈনিক বিল্ড জানায়। ওই ঘটনার একদিন পর পুতিন রুদেনভো পরিদর্শনে যান এবং সেখানকার কর্মকর্তাদের ড্রোন উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদ দেন।