ইসরায়েলি কারাগারে অনশনরত খাদের আদনানের মৃত্যু

ইসরায়েলি কারাগারে অনশনরত ফিলিস্তিনি বন্দি খাদের আদনান মারা গেছেন। টানা ৮৭ দিন অনশনের পর আজ মঙ্গলবার তিনি মারা যান। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সদস্য ছিলেন খাদের আদনান। সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ইসরায়েল তাকে আটক করে। এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলে দুটি রকেটও ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার খবর। 

ইসলামিক জিহাদ নেতা আদনান

ইসরায়েলের দাবি, আদনান চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন এবং মঙ্গলবার ভোরে নিজ কক্ষে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদনানকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। আদনানের আইনজীবী জামিল আল-খতিব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনেছেন।

ওই আইনজীবী বলেন, গ্রেপ্তারের ৩৬ দিন পর আমরা আদনানকে সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ইসরায়েলি কারাগার কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা করানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে আদনানের মৃত্যুর খবর ঘোষণার পরই গাজা সীমান্তে সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে তিনটি রকেট ছোড়া হয়।

ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমাদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে এবং শত্রুরা আবারও বুঝতে পারবে অপরাধ করে ছাড় পাওয়া যায় না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

৪৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি নাগরিক আদনান পশ্চিম তীরে ইসলামী জিহাদের একজন নেতা। ইসলামপন্থী হামাসের মতো ইসলামী জিহাদ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করে এবং ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, আদনানকে ১২ বার ইসরায়েলকে আটক করেছে। তিনি প্রায় আট বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। বেশিরভাগ সময় তিনি ইসরায়েলের প্রশাসনিক বন্দিত্বের অধীনে কারাবন্দি ছিলেন।

আদনানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসকে সমর্থন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার এবং উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ২০০৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে আটক থাকার সময় তিনি কমপক্ষে পাঁচটি অনশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।