ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে ভয় দেখাচ্ছে চীন!

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন টক্কর লেগেই আছে। এই সাগরে মার্কিন গুপ্তচর জাহাজকে প্রায়শই তাড়া করে চীনা নৌবাহিনী। এনিয়ে ওয়াশিংটনের অভিযোগের অন্ত নেই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে। আল জাজিরার খবর।

দক্ষিণ চীন সাগরে চায়না কোস্ট গার্ডের জাহাজ

সম্প্রতি একটি চীনা জাহাজ ও ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড বোটের মধ্যে সংঘর্ষের পর চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওয়াশিংটন দক্ষিণ চীন সাগরে ‘উসকানিমূলক‘ পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য বেইজিংকে আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা বেইজিংকে উসকানিমূলক ও অনিরাপদ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের বৈঠকের ঠিক দুইদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযোগ তুলল।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরও সতর্ক করেছে, ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী বা পাবলিক নৌযানে হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র কড়া প্রতিক্রিয়া জানাবে। মিলার বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আদেশ বজায় রাখার জন্য ফিলিপাইনের পাশে দাঁড়িয়েছে।

গত শুক্রবার স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড টহল বোটের সঙ্গে চীনা কোস্ট গার্ড জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষটি হয়। এটাকে চীনা উপকূলরক্ষীদের ‘আক্রমণাত্মক কৌশল‘ বলে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনাস্থলের দূরত্ব ছিল ফিলিপাইন উপকূল থেকে ১০৫ নটিক্যাল মাইল বা ১৯৫ কিলোমিটার। ফিলিপাইনের জাহাজটি দেশটির সাংবাদিকদের বহন করছিল।

খবরে বলা হচ্ছে, বেইজিং প্রায় সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরে একক সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশটির এই দাবি আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করে, চীনের এই দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, ফিলিপাইনের নৌযানগুলো চীনের অনুমতি ছাড়াই দক্ষিণ চীন সাগরে অনুপ্রবেশ করেছে। বেইজিং এটিকে পূর্বপরিকল্পিত এবং উসকানিমূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে।