সংকটে ইউক্রেনের সেনারা, কমছে পশ্চিমা সমর্থনও!
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
একবছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। নিজস্ব অস্ত্রের পাশাপশি বিদেশি সহায়তা হিসেবে পাওয়া অস্ত্র দিয়ে রুশ সামরিক হামলার জবাব দিয়ে আসছিল। তবে সম্প্রতি তারা চরম অস্ত্র সংকটে ভুগছে। তারা অভিযোগ করছে, পশ্চিমা বিশ্ব প্রতিশ্রুত হারে তদের অস্ত্র দিচ্ছে না। একই সঙ্গে পশ্চিমা সমর্থন হারানোর শঙ্কাতেও ভুগছে তারা। খবর এএফপি ও বিবিসি।
বাখমুতে চলছে লড়াই
এই মুহূর্তে মস্কো-কিয়েভের লড়াই চলছে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুত শহরে। এই শহরটির নিয়ন্ত্রণের ওপর ভিত্তি করছে আগামীর যুদ্ধের অনেক কিছু। কারণ রাশিয়া ইউক্রেনের এই শহরটির পুরোপুরি দখল পেয়ে গেলে দখলকৃত বিভিন্ন এলাকাসহ পুরো ইউক্রেনে যোগাযোগ তাদের জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। ইউক্রেনও তাই মরণপণ লড়াই করে তা রক্ষা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে অস্ত্র সংকটের কারণে তারা বিপাকে পড়ছে।
ইউক্রেন বাহিনীর ১৭তম ট্যাংক ব্যাটালিয়নের প্রধান ভোলোদিমির জানান, রুশ সামরিক বাহিনীর হামলা ঠেকাতে তারা এর আগে বিএম-২১ রকেট লঞ্চার থেকে একসঙ্গে ৪০টি রকেট ছুড়তেন। কিন্তু অস্ত্র সংকটের কারণে এখন রকেটের পরিমাণ অনেকখানিই কমে গেছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত অস্ত্র থাকলে আমরা বাখমুতে আরও ভালোভাবে রুশ হামলার জবাব দিতে পারতাম।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
অস্ত্র ও গোলাবারুদের স্বল্পতা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে ভোলোদিমির জানান, নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডরের গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও পাকিস্তানি অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে বর্তমানে ব্যবহার করা অনেক অস্ত্রই নিম্নমানের বলে মন্তব্য করেন। এ অবস্থায় পশ্চিমা দেশগুলো থেকে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের তাগাদা দিচ্ছে ইউক্রেন সরকার।
জানা গেছে, শীতের প্রকোপ কেটে যাওয়ার পর নিজস্ব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু এখন নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতেই হাবুডুবু খাচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের স্থলভাগের অনেকখানি হাতছাড়া হলেও দেশটির আকাশ পুরোপুরি রুশ নিয়ন্ত্রণে না যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সোভিয়েত যুগের বাক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ বাহিনীর প্রধান জোসেফ বলেন, রাশিয়ার এখন এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকেই তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তাই এগুলো সুরক্ষিত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এগুলোতে চারটি করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা থাকলেও অস্ত্র সংকটের কারণে এখন ক্ষেপণাস্ত্র সেট করা হয়েছে দুটি করে।
জোসেফ দ্রুত আরও বাক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বলেন, বাক-এর রক্ষণাবেক্ষণ অনেক কঠিন। কারণ এর যন্ত্রাংশ ভেঙে গেলে সেগুলো আর মেরামত করা সম্ভব হয় না। এসব যন্ত্রাংশ ইউক্রেনে তৈরি হয় না।
জানা গেছে, যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে ইউক্রেন সেনারা তত বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংকটে পড়ছেন। বিশ্বজুড়ে আওয়াজ বাড়লেও ঠিক আগের মতো সহায়তা পাচ্ছে না ইউক্রেন। অথচ রাশিয়ার হামলা আগের মতোই রয়েছে।
এদিকে বাখমুতের পাশের একটি অঞ্চলে ইউক্রেন সেনাদের ৮০নং ব্রিগেডের কমান্ডার সেরহি বলেন, আমরা কিছুটা বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র পাচ্ছিলাম। তবে আমরা এসব অস্ত্র পাচ্ছি রেশনের মতো করে। গোলাবারুদের সংকটের কারণে যথেষ্ট সেনা থাকলেও আমরা দিনে মাত্র ৩০টি গোলা ছুড়তে পারছি।
এ বছরটিকে ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে সেরহি আরও বলেন, আমরা যদি আক্রমণাত্মক নীতিতে যাই বা হারানো অঞ্চলগুলো দখলে নিতে পারি তাহলে আমরা এই বছরেই যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারব। কিন্তু যদি তা না হায়, তাহলে আগামীতে কী হবে আমরা বলতে পারছি না। কারণ ৫ বা ১০ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র আমাদের কাছে নেই।
গ্রাদের কমান্ডার ভলোদিমিরের বলছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে দেশবাসী ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। অর্থনীতিও প্রায় অচল হয়ে গেছে। এ বছরের মধ্যেই কিছু না হলে পশ্চিমা সমর্থন কমে যেতে পারে। তারা আমাদের সাহায্য করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.