পাকিস্তানে পুলিশ দপ্তরে দুই দফা বিস্ফোরণ

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের এক পুলিশ দপ্তরে দুই দফা বিস্ফোরণে অন্তত ১২ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক। গতকাল সোমবার রাতে সোয়াত উপত্যকার কাবাল পুলিশ দপ্তরে বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছে

এ ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মকর্তা ইমদাদ খান জানান, সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ দপ্তরের অভ্যন্তরে ওই বিস্ফোরণটি ঘটে। এ ঘটনায় তিনটি ভবন ধসে পড়ে এবং সেখানে আগুন ধরে যায়। ১২ জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং ৫৩ জন আহত হয়েছে। নিহত পুলিশদের অধিকাংশই সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তা। আহতদের মধ্যে বেসামরিক লোকজনও রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতদের অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় আশপাশের অন্যান্য হাসপাতালেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

সোয়াত জেলা পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণের মূল ঘটনাটি ঘটে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগের ভবনে। সেখানে কাবাল পুলিশের কয়েকটি ভবনের পাশাপাশি রিজার্ভ পুলিশের সদর দপ্তরও রয়েছে। তবে বিস্ফোরণের মূল কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরপর দুটি বিস্ফোরণে দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সোয়াত জেলা পুলিশের কর্মকর্তা সফিউল্লাহ এই বিস্ফোরণকে আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে কাবালের পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুল্লাহ খান জানান, ভবনের বেসমেন্টে রাখা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরে সেখানে আগুন ধরে যায়। প্রাদেশিক পুলিশের প্রধান আখতার হায়াতও বলেন, ওই ভবনের বেজমেন্টে অনেকদিন ধরে বেশকিছু বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ছিল। সেখান থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সন্ত্রাসী হামলার সন্দেহের কথাও উড়িয়ে দেননি তিনি।

এ ঘটনায় পৃথকভাবে নিন্দা ও শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ, খাইবার পাখতুনখাওয়ার তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খানসহ আরও অনেকে।