ঈদ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সুদানে সংঘর্ষ চলছে

সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগালো ঈদ উপলক্ষে ৭২ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেও শুক্রবার দিনের শুরুতে রাজধানী খার্তুমে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাহিনী। এদিন খার্তুমের বেশ কয়েকটি এলাকায় বোমা হামলা ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সুদানে সংঘর্ষ চলছে

২১ এপ্রিল, শুক্রবার সুদানের চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের আগের রাতে খার্তুমের বেশ কয়েকটি এলাকায় বোমা হামলা করা হয়েছে। এখনও সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে গোলাবর্ষণ ও সংঘর্ষ চলছে। 

চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা সকল নাগরিককে সতর্কতা অবলম্বন করে ঘরে থাকার জন্য এবং দরজা-জানালা বন্ধ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা যুদ্ধরত দুই বাহিনীকে দায়িত্বশীল হতে এবং অবিলম্বে নিরীহ জীবন রক্ষার জন্য লড়াই বন্ধ করার আহ্বান জানাই।' 

এর আগে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আরএসএফের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলার এবং ঈদে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ করে দিতে ৭২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিলেন আরএসএফ কমান্ডার দাগালো।  

এদিকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি প্রাক রেকর্ড করা বক্তৃতায় যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করেননি।

বৃহস্পতিবার সুদানের সেনাপ্রধান তার প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকার করেন। বুরহান তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান, সৌদি ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মিশরীয় গোয়েন্দা প্রধান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পৃথক ফোন কল পেয়েছেন। ফোনে তার প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। 

উল্লেখ্য, সেনাপ্রধান বুরহান এবং আরএসএফের কমান্ডার দাগলোর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছিল। কারা সুদানের ক্ষমতা দখল করবে তা নিয়েই মূলত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ এপ্রিল, শনিবার উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শুরু হয়। এই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড